দামুড়হুদার নতিপোতায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন জখম

দামুড়হুদা প্রতিনিধি : দামুড়হুদার নতিপোতায় বসতভিটার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৬ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে একপক্ষের লোকমান হাকিম, তার বোন আয়শা খাতুন এবং ভাগ্নে মিঠুকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে এবং ভাতিজা ইব্রাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেছেন। এছাড়া অপর পক্ষের আলাউদ্দীন ও তার ছেলে রাশিদুল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের মৃত আহম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে আয়শা খাতুনদের সাথে প্রতিবেশী আলাউদ্দীনের মধ্যে বসতভিটার সামান্য জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও করা হয়েছে। ওই বিরোধপূর্ণ জমি সম্প্রতি আয়শা খাতুনরা বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বেড়া তুলে দেয় আলাউদ্দীন ও তার ছেলে রাশিদুল। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আয়শা খাতুন (৫৫), ছেলে মিঠু (২৪), ভাই লোকমান হাকিম (৪৬) এবং ভাই মৃত ই¯্রাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৫) এবং অপর পক্ষের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আলাউদ্দীন (৪৫) এবং ছেলে রাশিদুল (৩০) রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের মধ্যে লোকমান হাকিমের মাথার পিছন দিকে দুস্থানে মোট ১২ টি, বোন আয়শা খাতুনের বাম হাতের তালুর ওপর ১২টি, ছেলে মিঠুর মাথার পিছন দিকে একস্থানে ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। লোকমান হাকিমের নাকে আঘাতের কারণে নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ছাড়া ইব্রাহিমের মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগায় অনবরত বমির সাথে রক্ত বের হতে থাকায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জামাল উদ্দীন। অপরদিকে, প্রতিপক্ষ আলাউদ্দীনের মাথায় ৬টি এবং ছেলে রাশিদুলের মাথায় একইস্থানে ২০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।