দামুড়হুদার ডুগডুগি ও জীবননগরের শিয়ালমারী পশুহাট এবার পঙ্গু ও দুস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি পশুহাট ও জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট পঙ্গু ও দুস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে ইজারা দিতে উচ্চ আদালত থেকে আদেশ দেয়া হয়েছে।বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্টের বেঞ্চ গত ৪ মার্চ এ আদেশ দেন। আদেশে গত বাংলা বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বর্ধিতহারে বাংলা ১৪২১ সালের জন্য এ হাট দেয়ার জন্য বলা হয়।

পঙ্গু ও দুস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার অন্তর্বর্তী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান জানান, উচ্চ আদালতের আদেশে দুটি হাট পেতে এখন আর আইনগত কোনো বাধা নেই। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাটের অনুকূলে টাকা জমা দেয়ার কাগজপত্র হাতে দিলেই টাকা পরিশোধ করা হবে এবং হাটের কর্তৃত্ব আমাদের সমিতির আওতায় চলে যাবে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে,পঙ্গু ও দুস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. দুঃখী মণ্ডল গত ১৫ মার্চ জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনে জানান, দামুড়হুদা উপজেলাধীন ডুগডুগি পশুহাট ও জীবননগর উপজেলাধীন শিয়ালমারী পশুহাট দুটি ইজারা নেয়ার জন্য ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদন করা হয়। অথচ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ আবেদনের কোনো উত্তর দেননি। তাই সমিতির পক্ষে হাটদুটি পাওয়ার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ২০০৩/২০১৪। হাট দুটি পঙ্গু ও দুস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার অনুকূলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও তা ইউএনওগণ অমান্য করেন।

এদিকে বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গত ১৫ এপ্রিল জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে শোকজ করেছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ মার্চের আদেশ অনুযায়ী হাট বুঝিয়ে না দেয়ায় ওই দু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তি দেয়া হবেনা তা ২৯ এপ্রিলের আগে জানাতে রুল নিশি জারি করা হয়েছিলো। তবে নির্ধারিত তারিখে ইউএনওগণ সময় প্রার্থণা করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহুল ইসলাম আসিফ জানান, আদালত অবমাননার মামলাটি আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তার যেকোনো দিন শুনানি হতে পারে।

উল্লেখ্য, সোহরাব হোসেনের নামে ডুগডুগি পশুহাট ও ফরহাদ হোসেনের নামে শিয়ালমারী পশুহাট ইজারা ছিলো। ইজারার মেয়াদ বর্ধিত সময়সহ আজ ২৫ জুন শেষ হচ্ছে।