দামুড়হুদার জয়রামপুরে বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ডিস ব্যবসায়ী আলম অবশেষে জেলহাজতে

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর হাজিপাড়ার ধর্ষণের শিকার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী ডিস ব্যবসায়ী আলমকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। মামলার প্রায় দুই মাস পর আসামি আলম গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৯ মাস আগে জয়রামপুর হাজিপাড়ার এক অসহায় হতদরিদ্র ভ্যানচালকের বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে জয়রামপুর চায়ের দোকানপাড়ার ডিস ব্যবসায়ী দু সন্তানের জনক আলম। ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলম তার ২য় স্ত্রীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীই তার মা-বাবাকে ইশারা-ইঙ্গিতে জানায়। ঘটনার পর গত ১৪ নভেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ি পরিদর্শনে যান মানবাধিকার সংগঠন মানবতা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ। ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ওই প্রতিনিধিদলকেও অভিযুক্ত প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলমের বাড়ি দেখিয়ে দেয়। এসময় মানবতা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ভিকটিমের মা-বাবাকে আইনগত সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ১৯ নভেম্বর ওই সংগঠনের উদ্যোগেই বাকপ্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলমকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, সমন্বয়কারী অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জিল্লুর রহমান এবং সহমোটিভেশন কর্মকর্তা মাহফুজা আকতার যুথির উপস্থিতিতে ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরকালিন ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরী দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আকরাম হোসেনকেও ইশারা-ইঙ্গিতে প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলমের নাম প্রকাশ করে। মামলার পর অভিযুক্ত আলম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আব্দুল বাকীকে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। ওই সুযোগে অভিযুক্ত আলম বিষয়টি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন লোক মারফত চেষ্টা চালালেও বাদীকে ম্যানেজ করতে না পারায় শেষমেষ ভেস্তে যায় তার পরিকল্পনা। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসামি আলম গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।