দামুড়হুদার জয়রামপুরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুরের নিকট চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী সিগনালে ধাক্কা লেগে রেললাইনের ওপর ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে লাশের সৎকারসহ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ কোনোপক্ষই এগিয়ে না আসায় নিহতের মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ রাখার ঘরে রাখা হয়েছে। দ্বায় এড়াতে উভয়পক্ষই দিয়েছেন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী মহানন্দা ট্রেনটি দুপুর আড়াইটার দিকে দামুড়হুদার জয়রামপুর রেলস্টেশনের অদুরে আখ সেন্টারের নিকট পৌঁছুলে চলন্ত ট্রেনের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি সিগনালে ধাক্কা খেয়ে রেললাইনের ওপর ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগে। উপস্থিত লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে এলাকার কোনো ভ্যানচালকই তাকে হাসপাতালে নিতে রাজি না হওয়ায় শেষমেষ দামুড়হুদার লোকনাথপুরস্থ ফায়ার সার্ভিস অফিসে বিষয়টি জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, যার যেখানে এখতিয়ার তারাই করবে। যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে রেলস্টেশনের ওপর সেহেতু ওটা আমাদের কাজ না জিআরপি পুলিশের কাজ। তিনি আরও বলেন জিআরপি পুলিশ চেষ্টা করে এড়িয়ে যাওয়ার। ওই ব্যক্তি ট্রেনের যাত্রী ছিলো। সে কারণে তাদের এড়িয়ে যাওয়ারতো কোনো সুযোগই নেই।

বিষয়টি পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশের ওসি সুনীল কুমার ঘোষের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রেললাইনের ওপর ঘটনা ঘটলেও ওই ব্যক্তি মারা গেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ফলে ওই ব্যক্তির আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দ্বায়-দায়িত্ব আমাদের থাকে না। এটা আমাদের রেলওয়ে আইনেই বলা আছে। ওটা এখন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশেরই কাজ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি যদি বলে থাকেন ওই পোড়াদহ রেলওয়ে ওসি দেখবে তবে ওনি ভূল বলেছেন। এ দিকে লাশের সৎকারসহ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ কোনোপক্ষই এগিয়ে না আসায় নিহতের মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ রাখার ঘরে রাখা হয়েছে। দ্বায় এড়াতে উভয়পক্ষই দিয়েছেন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে থানা ও জিআরপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় মেলেনি।