দামুড়হুদার চণ্ডিপুর থেকে আনন্দবাসে সার পাচারকালে আটকবর এলাকায় করিমন আটক

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সার ব্যবসায়ীর ৪ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার চণ্ডিপুর থেকে মেহেরপুর আনন্দবাসে অবৈধভাবে সার পাচারকালে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আটকবর এলাকা থেকে করিমন ভর্তি সার আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সার ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের আইনদ্দিনের ছেলে সারব্যবসায়ী উজ্জ্বল (৩২) গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে মেহেরপুর জেলার আনন্দবাস গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে মজিবারের কাছে ৮ বস্তা ইউরিয়া ও ১০ বস্তা ডিএপি সার বিক্রি করে। করিমন চালক আনন্দবাস গ্রামের ফিরোজ সারগুলো করিমনে করে আনন্দবাসে নিয়ে যাওয়ার পথে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর নামক স্থানে সারভর্তি ওই করিমনটি আটক করে। তারা বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। তিনি করিমনটি আটক করে উপজেলায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। গতকাল বিকেল ৫ টার দিকে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ডেকে আনা হয় উপজেলা পরিষদে। বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিক্রেতা উজ্জ্বল প্রথমে সার বিক্রির কথা অস্বীকার করলেও ক্রেতা মজিবার ও করিমন চালকের সরল স্বীকারোক্তিতে উজ্জ্বল শেষমেষ সার বিক্রির কথা স্বীকার করেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ক্ষমা চান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বিক্রেতাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে চণ্ডিপুরের উজ্জ্বল সারের বৈধ ডিলার না হওয়া সত্তেও কীভাবে সার বিক্রি করছে এবং কোথা থেকে ওই সারগুলো আনছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ভুক্তভোগী চাষি মহলে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী চাষিমহল।