দামুড়হুদার গোপিনাথপুরে আগরবাতির সাথে পটকা বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় বিস্ফোরণ : বোম আতঙ্ক

ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার গোপিনাথপুর কবরস্থানপাড়ায় ৮ জনের বাড়ির আশপাশসহ বাগানে প্রায় ৫০টি আগরবাতির সাথে পটকা বেঁধে আগুন ধরিয়ে এলাকায় ভয়-ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পুতে রেখে গেছে দুস্কৃতকারীরা। বাগানের ভেতর ও বাড়ির আশপাশে একাধারে বোমা ফুটতে থাকায় বোমা আতঙ্ক হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। পুলিশে খবর দেয়া হলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি।
গ্রামবাসী জানিয়েছে, গতপরশু শনিবার সন্ধ্যার পর দামুড়হুদার গোপিনাথপুর গোরস্থানপাড়ার বাড়ির আশেপাশে ও বাঁশবাগানে প্রায় ৫০টি পটকা আগরবাতির সাথে কাঠিতে পেচিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় কে বা কারা। আগরবাতির গন্ধ এলাকার চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার উৎস খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এক পর্যায়ে পাড়ার মৃত মাহতাব মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন তার বাড়ির পেছনে গেলে দেখে তার ঘরের সাথে ৩টি কাঠিতে আগরবাতি জ্বলছে কাছে গিয়ে দেখে আগরবাতির সাথে কাঠিতে রসুন বোমা মড়ানো। সাবধানে তিনি আগর বাতির কাঠি ভেঙে বোমা গুলো তুলে আনে। লোকজন তা দেখতে গেলে সেগুলো ফুটতে থাকে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী আগরবাতির গন্ধে পেয়ে সেসব জায়গায় পটকাগুলো খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সলেমান হকের ছেলে শান্তির বাড়ির পাশ থেকে ৪টি, আশাবুল হকের ছেলে রনির বাড়ির সামনের বাগান থেকে ৩টি, আফতাবের ছেলে শেরেকের বাড়ির পাশ থেকে ৩টি, সাকমের ছেলে লিটনের বাড়ির পাশ থেকে ২টি, মৃত কাশেম চৌধুরির ছেলে বজলুর রহমানের বাড়ির পাশ থেকে ৩টি, মৃত জুব্বারের ছেলে রাশিবুলের বাড়ির টয়েলেটের পাশ থেকে ২টি, মৃত ফরজের ছেলে সিরাজের বাড়ির পাশ থেকে ২টিসহ আশপাশের বাগান থেকে বেশ কিছু পটকা উদ্ধার করে যেগুলো ফেটেনি সে গুলো নষ্ট করা হয়। এতোগুলো বোমা ফোটা ও ফোটা বাদে উদ্ধার করার পরে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে কি কারণে কারা এ কাজ করেছে সে ব্যাপারে এলাকাবাসী কিছুই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি। তবে আনেকে বলেন আমাদের পাড়ার কিছুটা দূরে গোকুলখালী রামনগর রাস্তার মাঝে প্রায়ই ছিনতাইকারীরা তাদের তাণ্ডব চালিয়ে রাস্তায় চলা লোকজনকে মেরে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। তাই এলাকায় ভয়ভীতি সৃস্টি করার জন্যও এটা করতে পারে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এমন একটা ঘটনার পরও প্রশাসনের কোনো বাহিনি এখানে আসেনি। একের পর এক এই রাস্তায় ছিনতাই হওয়ার পর পুলিশ বাহিনির কোনো টহল দল আমাদের চোখে পড়েনি। তাই তারা উচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদার দলিয়ারপুর পুলিশ ক্যাম্পে ফোন করা হলে বলেন আমরা তো এ বিষয়ে কিছু জানি না তার পরও আমরা একটা গুরত্বপূর্ন জায়গায় আছি আপনি থানাতে ফোন করেন থানা থেকে বললে আমরা যেতে পারি।