দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি আদর্শ সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ

দর্শনা অফিস: ‘বাঘের ভয়ে উঠলাম গাছে, ভুত বলে পেয়েছি কাছে’, বহুল প্রচলিত এ প্রবাদ বাক্যের মতোই দশা হয়েছে দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি আদর্শ সমবায় সমিতির। সমিতিকে অর্থ আত্মসাতের হাত থেকে রক্ষা করতে নতুনভাবে কমিটি নির্বাচিত করা হলেও এ কমিটিও হাঁটছে আগের কমিটির মতো। সমিতির কমিটির দায়িত্বে যারা অধিষ্ঠিত হয় তারাই মেতে ওঠেন লুটপাটে। আগের কমিটির লোপাটকৃত ১০ লাখ টাকার কোনো কূলকিনারা না হলেও বর্তমান কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান চৌধুরী পকেটে ভরেছেন প্রায় পৌনে দু লাখ টাকা। সভাপতির দাপটের কারণে টাকা উদ্ধারের ধারে-কাছে ভীড়তে পারছে না কেউ। টা

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আদর্শ সমবায় সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ৩০ আক্টোবর। নির্বাচিত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে ৬ নভেম্বর। নির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণের প্রায় ১০ লাখ টাকা হিসেব-নিকেশে গরমিল পায়। সাবেক সভাপতি উজির আলী ও ম্যানেজার রজমান আলী ও হিসাবরক্ষক রাশেদ হায়দার মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে ৯ লাখ ৮১ হাজার ১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া হিসাবরক্ষক রাশেদ হায়দারের মিলনের বিরুদ্ধে এককভাবে ২৯ হাজার ৪৪৮ টাকা হিসেবে তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য শফতের ৫ দিনের মাথায় গত বছরই ১২ নভেম্বর বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন জনতা ব্যাংক দর্শনা শাখার কর্মকতা আব্দুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত সভাপতি, ম্যানেজার ও হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব থাকাকালীন গত ১ জুলাই ২০১১ থেকে ৪ নভেম্বর ২০১২ পর্যন্ত ১৬ মাসের হিসাব-নিকেশের তদন্ত শুরু করে। টানা ১০ মাস ১৭ দিনের তদন্ত শেষে গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত বার্ষিকসভায় আনুষ্ঠিকভাবে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ১৪ পাতা বিশিষ্ট লিখিত তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়। সাবেক কমিটি আত্মসাতের টাকার কোনো কূলকিনারা না হলেও সমিতি পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি হাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ১ লাখ ৬১ হাজার ৮শ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই বার্ষিকসভায় হাফিজুর রহমান চৌধুরী শীঘ্রই টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনোভাবে পার পেলেও আজ পর্যন্ত লোপাটকৃত টাকার মধ্যে ১ টাকাও ফেরত দেননি। টাকার বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে বারবার সভার আয়োজন করলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাফিজুর রহমান চৌধুরী ভেস্তে দিচ্ছেন সভা। তবে এ টাকা ফেরতের ব্যাপারে নয়া কৌশল অবলম্বন করে মাঠ নামতে পারে বর্তমান কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে হাফিজুর রহমান চৌধূরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা গেলেও তার কোনো নামগন্ধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসলে কেন কি কারণে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে হাঁটতে পারছে না বর্তমান কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।