দামুড়হুদার কালিয়াবকরী এলাকা থেকে রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা

 

 

লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পে গাছ জব্দ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কালিয়াবকরী থেকে টুঙ্গী গোপালপুর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘদিন ধরে এসব গাছ দিনদুপুরে কাটলেও প্রশাসন থাকে নির্বিকার। তবে গতকাল লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প পুলিশ রাস্তার কাটা গাছ জব্দ করলে হইচই পড়ে যায়। বেসরকারি এনজিও সংস্থা সিরাক ও এর সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করে চলেছে। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রেজানা গেছে, বেসরকারি এনজিও সংস্থা সিরাক ২০০৪ সালে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরী গ্রাম থেকে টুঙ্গী গোপালপুর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কাজ শুরু করে। যা বর্তমানে কর্তনযোগ্য। গত কয়েক দিন ধরে কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত মাজের মালিথার ছেলে আরজ মালিথা, একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আবুল হোসেন, চাঁন মালিথার ছেলে কাছোর আলী, সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে সিদ্দিক, আশরাফ আলীর ছেলে কর্নেল, ওয়াজের ছেলে সহিদ ও পার্শ্ববর্তী নতিপোতা গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে আক্কাচ জোরপূর্বক ওই রাস্তার দুপাশের গাছ কাটা শুরু করে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরাগতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে সিরাকের বিনা অনুমতিতে পুনরায় গাছ কাটা শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে সিরাকের প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে লূৎফর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করলে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আলমসাধু ভর্তি কাঠ আটক করে।

এ দিকে বিষয়টি অস্বীকার করে গতকাল শনিবার কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত মাজের মালিথার ছেলে আরজ মালিথা সিরাকের দুপ্রতিনিধিকে অভিযুক্ত করে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন, আমিসহ মোট ৪৫ জন সিরাকের সদস্য ২০০৪ সালে জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লিখিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই রাস্তায় বৃক্ষ রোপণ করি। চুক্তিমোতাবেক সদস্যদের না জানিয়ে ওই গাছ সিরাকের কেউ কাটতে পারে। তারপরও ২০১২ সালে সিরাকের প্রতিনিধি আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মৃত ইছাহক আলীর ছেলে খোকন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মুক্তিপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে লূৎফর রহমান ওই দুজন যোগসাজশ করে সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার গাছ কেটে নেয় এবং হিস্যানুযায়ী সদস্যদের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে বেশিরভাগ টাকাই আত্মসাত করে। অনুরুপভাবে আবারও গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে সিরাকের ওই দুপ্রতিনিধি রাস্তার গাছ কাঁটা শুরু করে। আমরা অর্থাৎ সমিতির সদস্যরা বিষয়টি জানার পর গাছ কাটায় বাঁধা দিলে তারা আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডের থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, উভয়পক্ষকেই গাছ কাটতে আপাতত নিষেধ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার উভয়পক্ষকেই তাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।