দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

 

 

বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাচুর ও লুটপাট : গুলিবর্ষ : মহিলাসহ আহত ৫

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষরা বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর ও সোনার গয়নাসহ নগদ দুলাখ টাকা লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহিলাসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। জীবন রক্ষার্থে ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। একপক্ষ থানায় ৭ জনের নামে মামলা করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ও গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে দুদফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও যুগ্মআহ্বায়ক সাইদ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কমিঠি গঠন করাকালীন সময়ে সভাপতি পদে কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ছানোয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাব করলে একই গ্রামের মৃত মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রব পটল নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। আহ্বায়ক ও যুগ্মআহ্বায়ক দুপক্ষের সমর্থকদের হাত তুলতে বললে পটলের সমর্থকরা হইচই শুরু করে এবং দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে পটলের সমর্থকদের মধ্যে ওই গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আহত হয়। ওই রাতেই আহত লুৎফরের ভাইয়ের ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মন্টু বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ৭ জনের নামে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রশ্ন লুৎফর আওয়ামী লীগ করে। সে কেন এই মিটিঙেএলো?পূর্ব কোন ঘটনার জের ধরেই তারা কমিটি গঠনের সময় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এসে এ মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মন্টুর লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেনের বাড়িতে হামলা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা সোহবার হোসেনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে সোনার গয়নাসহ নগদ দুলাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে গিয়ে সোহবার হোসেনের মেয়ে পাঁপড়ি (১৮), বোন ফাহিমা (৩০), ছেলে মিল্টন (২৫) ও তরিকুল (২৮) আহত হয়। এ সময় নিজের জীবন বাঁচাতে সোহবার হোসেন তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে অবস্থা বেগতিক দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মন্টুর দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ সোহরাব হোসেন ওরফে সিরা মেম্বারকে আটক করে থানায় নেয়।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং সোহবার হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।