দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুর মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ইব্রাহিমপুর কবরস্থানপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুর রহিম তাকে ধর্ষণ করেন। তার কাছে আরবি পড়তে গেলে এ ঘটনা ঘটে জানা গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মসজিদ কমিটি ও গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছেন। তারা এক লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ দিন সময় নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ইব্রাহিমপুর কবরস্থানপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মৃত পুটি বিশ্বাসের ছেলে ভুল বিশ্বাস বলেন, মেয়েটিকে দিয়ে ইমাম কাপড়চোপড় ও থালা বাসন ধুইয়ে নিতো বলে আমরা জোহরের নামাজের পর সমজিদ কমিটি অভিযুক্ত ইমামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। ধর্ষণের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যেয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তার খালাতো ভাই বলেন, আমার বোন ইমামের লালসায় পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে আজ দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, ইব্রাহিমপুর কবরস্থানপাড়া জামে মসজিদের পেশইমাম দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের কাছে আরবি পড়তো ওই স্কুলছাত্রী। গতকাল শনিবার সকালে পড়া শেষে মসজিদ সংলগ্ন ইমামের থাকার ঘরে যায় ওই ছাত্রী। তাকে কিছুক্ষণ থেকে যাওয়ার জন্য বলেন ইমাম রহিম। এরপর একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরে সবাইকে জানিয়ে দেয়।
এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, মসজিদ কমিটি ও গ্রামের কতিপয় কিছু লোক ধর্ষণের বিষয়টি আগে থেকে জানতে পেরে জোহরের নামাজের পর এক লাখ টাকা জরিমানা করে ইমামকে। দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ইমাম আব্দুর রহিমকে এবং ইমামের ভগ্নিপতিকে জামিনদার করে ৩ দিন সময় নিয়ে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেয় ইমাম রহিমকে। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মসজিদ কমিটির লোকজন ও গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি প্রচার করতে থাকে ইমাম ছাত্রীকে দিয়ে কাপড়চোপড় ও থালা বাসন ধুইয়ে নিতো বলেই তাকে চাকরিচ্যুতি করা হয়েছে।