দল পরিচালনায় বিএনপির ব্যয় সোয়া দু কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি দল পরিচালনায় সাংগঠনিক খাতে ২০১৩ আর্থিক বছরে ব্যয় করেছে ২ কোটি ২৭লাখ ৩৬২ টাকা। পক্ষান্তরে দলটি আয় দেখানো মাত্র ৭৫ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা।ঘাটতি রয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ৫৬৪ টাকা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিএনপিরযুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে এইহিসাব জমা দেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম প্রতিনিদি দলের কাছথেকে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ অর্থবছরে ৭৫ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকাআয় হলেও ২০১২ অর্থবছরে আয় করেছিলো এক কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ২৩১ টাকা। ফলে আয়কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে আয় কমলেও বিএনপির ব্যয় থেমে নেই। গতঅর্থবছরের চেয়ে ব্যয় আরো বেড়েছে। আর এবারের আয়ের চেয়ে এই ব্যয় প্রায় তিনগুণবৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর বিএনপির ব্যয় দু কোটি ২৭ লাখ ৩৬২ টাকা হলেও ২০১২সালে ব্যয় হয় দু কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৩ টাকা। আয়ের তুলনায় গতবার ঘাটতিছিলো ৪৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এ বছর দলটির ঘাটতি এক কোটি ৫১ লাখ ৫৬৪ টাকা।

বিএনপির আয়ের প্রধান উত্স হিসেবে নেতাকর্মীদের চাঁদার কথা উল্লেখ করাহয়েছে। একই সময়ে দলটি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, লিফলেট, স্টাফদের বেতন, জিয়াউররহমানের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যয়ের খাত হিসেবে উল্লেখ করেছে।আয় ব্যায়ের হিসাব জমা দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয় হিসাব জমাদেয়ার শেষ তারিখ ছিলো গত ৩১ জুলাই। কিন্তু বিএনপি সময় চেয়েছিলো ১৪ আগস্টপর্যন্ত। তাই বৃহস্পতিবার এসে দলের আয় ব্যয়ের বিবরণী তথ্য জমা দিয়েছি।

তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাই আমাদের আয়ের প্রধান উত্স। এছাড়া সভা-সমাবেশ ও দলের নানা কর্মসূচিতে আমরা এ টাকা ব্যয় করেছি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন-যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুলইসলাম,স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাদেরবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। সে অনুযায়ী ২০১৩সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিলোদলগুলোর জন্য। এই হিসাবে হিসাব জমার তাগিদ দিয়ে গত জুন মাসে রাজনৈতিকদলগুলো সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিব বরাবর চিঠি পাঠায় কমিশন। নির্ধারিত সময়েরমধ্যে ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টি দল হিসাব জমা দেয়।এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। দশম সংসদেরপ্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি চেয়েছে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত। বাকি দলগুলোআর্থিক প্রতিবেদন জমার অতিরিক্ত সময় চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছে।