দর্শনা হল্টস্টেশনের হান্নান স্টোরসহ পাসপোর্টধারী যাত্রী ডাকাতদলের কবলে : নগদ টাকা সোনার গয়নাসহ মালামাল লুট

দর্শনা অফিস: দর্শনা হল্টস্টেশনে মুখোশধারী ডাকাতদল জিআরপি ফাঁড়ির সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, সোনার গয়নাগাটিসহ মালামাল লুটপাট করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে সীমান্ত এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে দর্শনা হল্টস্টেশনে নামেন বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের শেরপুরের রঞ্জন চক্রবর্তী, তার স্ত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীসহ ৪/৫ জন। স্টেশন এলাকায় নিরাপদহীন থাকায় যাত্রীরা স্টেশনের হান্নান স্টোরে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৬/৭ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায় হান্নান স্টোরে।

দোকানের স্বত্বাধিকারী জুনাব আলীর কাছ থেকে জানা গেছে, মুখোশধারী ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র ও বোমার ভয় দেখিয়ে তার দোকান থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ৪/৫ হাজার টাকার সিগারেট লুট করে। দু ভারতীয় যাত্রী রঞ্জন চক্রবর্তী ও ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীর কাছ থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা, প্রায় ১ ভরি ওজনের সোনার গয়না, মোবাইলফোনসহ মালামাল লুট করে ও চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামের দু মহিলার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা লুট করেছে ডাকাতেরা। ডাকাতদলের কাছ থেকে অনুরোধ করে পাসপোর্ট দুটো চেয়ে নিয়েছেন রঞ্জন ও ইন্দ্রা। পরে সকালে তারা দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথে খালি হাতে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। অভিযোগ উঠেছে, দর্শনা হল্টস্টেশনে রাত-দিন প্রচুর পরিমাণ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। নিরাপত্তার জন্য জিআরপি ফাঁড়ি থাকলেও নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয় যাত্রীদের। নিজেদের নিরাপদের জন্য স্টেশন থেকে যাত্রীদের তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে প্রতি রাতেই। জিআরপি ফাঁড়ির মাত্র ২০ গজের মাথায় সশস্ত্র ডাকাতদল তাণ্ডব চালালো নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে ছিলো জিআরপি ফাঁড়ির সদস্যরা। এ ঘটনায় জিআরপিদের ভূমিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। খবর পেয়ে রাতেই দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।