দর্শনা স্টেশন থেকে নির্বিঘ্নে ছাড় পাওয়া সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি-কাপড় উদ্ধার হলো ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা কোলকাতার মধ্যে সরাসরি চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে মৈত্রী ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছুলে ট্রেনের ভেতর থেকে ওই শাড়ি জব্দ করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, কোলকাতা থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি গতকাল দুপুরে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশনে এসে পৌঁছুলে দর্শনা কাষ্টমস কর্মকর্তারা ট্রেন থেকে প্রায় ২৮ লাখ টাকার শাড়ি, থ্রিপিস উদ্ধার করেন। একই ট্রেন সর্বশেষ গন্তব্য অর্থাৎ ঢাকায় পৌঁছুলে সেখান থেকে জব্দ করা হয় ৩৭টি লাগেজ ভর্তি সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় কাপড়। প্রশ্ন উঠেছে দর্শনা স্টেশনে আপস-মীমাংসার ভিত্তিতে ওই কাপড়ের চালান ছেড়ে দেয়া হয়েছে কি-না।

গত ২-৩ বছর যাবত মৈত্রী ট্রেন হয়ে উঠেছে লাগেজ পার্টির যাতায়াতের প্রথম পছন্দ। এই সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে ওপারে গেদে আর এপারে দর্শনা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে অলিখিত চুক্তি এখন ওপেন সিক্রেট। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে কোলকাতা ফেরত ট্রেনে প্রতিমাসে আসে প্রায় ১শ কোটি টাকার শাড়ি-কাপড় যার পুরোটাই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল নির্বিঘ্নে দর্শনা পার হয়ে যায় বিপুল পরিমান ভারতীয় কাপড়ের চালান।

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে মৈত্রী ট্রেন থেকে কাপড় উদ্ধারের পর এ চোরাকারবারিতে ওই রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জড়িত থাকারও অভিযোগ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছুলে তল্লাশি করে ভারতীয় শাড়িভর্তি ৩৭টি লাগেজ উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসাইনের সহায়তায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা স্টেশনের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ চাইলে মোজাম্মেল হোসাইন আমাদেরকে সহায়তা করেননি। তিনি রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এডিজি হাবিবুর রহমানের লোক বলে পরিচয় দেন। তিনি সহায়তা না করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান শহীদুজ্জামান।