দর্শনা ডিলাক্স ও সোনারতরি পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক হেলপারসহ নিহত ৫ : আহত ২০

ঝিনাইদহমাগুরার সীমান্তবর্তী আলমখালীইছাডাঙ্গা মহাসড়কের মাঝামাঝি যাত্রীবাহী দুটি দূরপাল্লার কোচ দুর্ঘটনায় আহতদের নেয়া হয়েছে নিকটস্থ হাসপাতালে

 

ঝিনাইদহ/দর্শনা অফিস: ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দর্শনা ডিলাক্স ও দর্শনাগামী সোনারতরি পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মাগুরার আলমখালী-ইছাডাঙ্গা মহাসড়কে যাত্রীবাহী এ দুটি পরিবহনের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে ৫ জন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে মাগুরা ও ঝিনাইদাহ হাসপাতালে। কয়েকজনকে রেফার করা হয়েছে ঢাকা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ-মাগুরার সীমান্তবর্তী আলমখালীর অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ৫ জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায়।

জানা গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রায় ৪০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে সোনারতরি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-২৩২৫)  বাসটি। এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে প্রায় ৪৫ যাত্রী নিয়ে দর্শনা থেকে ছেড়ে যায় দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো-১৪-১৭২৬)। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, মাগুরা সদরের আলমখালী-ইছাডাঙ্গা মহাসড়কের আলমখালী বাজারের অদূরে দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের সামনের চাকার টায়ার বাস্ট হলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিপরিত দিক থেকে আসা সোনারতরি পরিবহনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও সঠিক তবে নাম ঠিকানা কেউ বলতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থল, মাগুরা ও ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে মারা গেছে দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের হেলপার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা দাসপাড়ার নিমাই দাসের ছেলে কৃষ্ণ ও প্রদীপ (৩০), সোনারতরি পরিবহনের চালক ঢাকার পাঞ্জাব (৪৬), হেলপার হানিফ (৩২), যাত্রী দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে পটলার ছেলে কলেজছাত্র হাবিবুর রহমান ওরফে স্বপন। এদিকে সোনারতরি পরিবহনের চালক ও হেলপার মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও দর্শনা কাউন্টার ম্যানেজার জানিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেছে চিকিৎসকরা। দর্শনা ডিলাক্সের চালক দর্শনা আজমপুরের আব্দুস সালাম ও হেলপার কৃষ্ণকে ফাঁয়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধঘন্টা ব্যাপী বাসের বিভিন্ন অংশ কেটে উদ্ধার করেছে। মারাত্মকভাবে জখম সালাম প্রাণে বাচলেও শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কৃষ্ণের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দর্শনা ডিলাক্সের যাত্রীদের মধ্যে আহতরা হলেন, চৌগাছা বন্দরতলার তরিকুল ইসলাম সরকার (২৫), ঢাকার গুলশানের আবু জাফর অনিক (৩০), ঝিনাইদাহ হলিধন এলাকার বাদশা (৬৫), আরিফুল (১৭), হরিণাকুণ্ডর ইতি বেগম (৫০) ছেলে সাব্বির হোসেন (২৭), দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, দর্শনা মোহাম্মদপুরের মোতালেব হোসেনের ছেলে রিফাত, সোনারতরি পরিবহনের সুপারভাইজার হাটগোপালপুরের ফারুককে (২২) মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইলয়াস হোসেন, ঝিনাইদাহ সদরের হাটগোপালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।