দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ধুড়পাচার ও চোরাচালানচক্রের হোতা জামাই বাবলু

 

দিনদুপুরে চলছে লাগেজ কারবার : চুয়াডাঙ্গায় ১০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

স্টাফ রিপোটার: দর্শনা জয়নগরের চোরচালান ও ধুড়পাচারচক্রের হোতা বহুল আলোচিত জামাই বাবলুর লাগেজ কারবার এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। দিন-দুপুরে লাখ লাখ টাকার মালামাল ভারত থেকে চোরাই পথে এনে পাচার করছে চুয়াডাঙ্গা, পুড়াদাহ ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। স্থানীয় বিজিবির চোখ ফাঁকি দিলেও মাঝে মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটেলিয়নের বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করে থাকে লাগেজ মালামাল। মালামাল উদ্ধার হলেও আটকের খবর নেই বললে ভুল হবে না। লোকসান পোষাতে বেপরয়া হয়ে পড়ে জামাই বাবলুসহ লাগেজ কারবারীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, বছর বিশেক আগে ঢাকার ঝিকেতলা এলাকার বাবলু বিয়ে করে দর্শনা পৌর এলাকার জয়নগরের সৈয়দ মণ্ডলের মেয়েকে। বিয়ের পরপরই বাবলু আপন ঠিকানা ছেড়ে ঘর জামাই হিসেবেই শশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করে। সে থেকে বাবলু থেকে জামাই বাবলু নামে পরিচিত পায়। সীমান্ত ঘেষা জয়নগরে বসে জামাই বাবলু শুরু করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে দালালি, রাতের আঁধারে বিনা পাসপোটে ভারতে মানুষ পাচার, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ মাদকদ্রব্য বিকিকিনি ও লাগেজ ধান্দার পেছনে ছুটতে থাকে জামাই বাবলু। অবৈধভাবে উপার্জন করতে থাকে কাড়ি কাড়ি টাকা। বেশ কয়েকজন চিহ্নিত চোরাচালানীকে নিয়ে গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। জামাই বাবলুর অবৈধ ধান্দা সামলাতে বছর খানেক আগে বড় ভাই বাদলকে এনে রেখেছে। যে কারণে দু ভাই সমানতালে এ ধান্দা করছে। চাটাইয়ের বেড়া ও আখপাতার চালার পরিবর্তে জামাই বাবলু এখন যেমন প্রচুর টাকা ও জমিজমার মালিক, তেমনিভাবে জয়নগর গ্রামের ২টি আলিসান বাড়ির গড়েছেন। সেই সাথে চেকপোস্ট এলাকায় নির্মাণ করেছেন মার্কেট। মার্কেটের পেছনে চোরাকারবারীদের বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকেই কমপক্ষে ১৮/২০টি ব্যাটারি চালিত ভ্যানযোগে জয়নগর থেকে লাগেজ মালামাল ভর্তি করে শ্যামপুর ও আজমপুর মহল্লার প্রধান সড়ক পথে নেয়া হয়ে থাকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ও হল্টস্টেশনে। এ দিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জামাই বাবলুর একটি লাগেজ চালান সাগরদাড়ি ট্রেন থেকে উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি।

একটি সূত্র বলেছে, এ চালানে ১০ লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। বেপরয়াগতিতে ভ্যানগুলো চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়। প্রশ্ন উঠেছে, বিজিবি-পুলিশকে কি ম্যানেজ করেই এ কারবার চলছে? অভিযোগ খতিয়ে দেখে চোরাচালান মুক্ত দর্শনা গঠনের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল আমির মজিদ ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।