দর্শনা জয়নগর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভ্রমণ কর আদায়ের অভিযোগ

 

 

অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আদায় করা হচ্ছে ৩শ টাকার স্থলে ৫শ টাকা

দর্শনা অফিস:শুধু পার্সপোর্টধারী বৈধ যাত্রী হয়রানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই দর্শনা জয়নগর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এবার যাত্রী হয়রানির নয়া কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অত্যাচারে এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারী যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ভারতীয়দের কাছে সুনামক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের। দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথে প্রতিদিন শ শ পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করছে। দেশের অন্যান্য সীমান্তের তুলনায় এ সীমান্ত পথে চলাচল অনেকটাই নিরাপদ ও সুবিধা মনে করে যাত্রী সাধারণের চলাচল তুলনা মূলকভাবে বেশি। এ সুযোগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে লুটে নিচ্ছে অতিরিক্ত সুবিধা। প্রতিদিনের মতো গত পরশু শনিবার সকালে বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যাতায়াতকারীদের চরম হয়রানি করেছে দর্শনা কাস্টমস্ট কর্তৃপক্ষ।

পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মধ্যে শাহনাজ পাসপোর্ট নং এফ ০৭৪৭০৬২, রাকিবুল পাসপোর্ট নং বিএ-০২৭৪২৩২, পাসপোর্ট নং সাদ্দার আলী-সি-১৩১২১৬৬, পাসপোর্ট নং সান্তনা রাণী- পাসপোর্ট নং বিএ-০৫১৯৮৬, পাসপোর্ট নং ফারুক আলী পাসপোর্ট নং বিএ-০০২৩৬৬৩, পাসপোর্ট নং জগন্নাত-সি-২০০১৩১৭, পাসপোর্ট নং সাবদার আলী পাসপোর্ট নং এএফ ১৬৭৮২১৬, পাসপোর্ট নং ফেরদৌস পাসপোর্ট নং এজি-৯৪৩৩৪৬৭ ও মাজেদুল হক পাসপোর্ট নং ওআই-৮৮১৩৭৮ অভিযোগ করে বলেছেন, শুক্রবার হওয়ায় ব্যাংক ছুটি মনে করেই সরাসরি চলে আসা হয় দর্শনা জয়নগর চেকপোষ্টে। আগের মতো ভ্রমণ করের জন্য কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের হাতে ৩শ টাকা দেয়া হলে বেকে বসেন তারা। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের সরকার ভ্রমণ কর ৩শ টাকার স্থলে ৫শ নির্ধারণ করেছে বলে দাবি তোলা হয়। এতে চরম বিভ্রান্তের শিকার হতে হয় যাত্রীদের। ভ্রমণ করের প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের কাছ থেকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আদায় করে আসছে সাড়ে ৩শ টাকা। এখন সরকারের দোহাই দেখিয়ে ৫শ টাকা নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়। ঝামেলা এড়াতে ৫শ টাকা হারে ভ্রমণ কর পরিশোধ করেই ভারত যাচ্ছে যাত্রীরা।

এ বিষয়ে দর্শনা কাস্টমস সার্কেলের এসি কাজী বজলুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্রমণ কর বাড়ানো সংক্রান্ত কোনো পত্র আমাদের হাতে আসেনি। তবে যারা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোনালী ব্যাংক দর্শনা শাখা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভ্রমণ কর গ্রহণের জন্য ছুটির দিনেও ব্যাংক খোলা রাখা হয়। এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কীভাবে ভ্রমণ কর আদায় করছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই মাহবুব হোসেন বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল হচ্ছেনা। তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতোই ভ্রমণ কর আদায় করছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ।