দর্শনায় প্রাইভেটকারসহ সোনার গয়না নাকি ফেনসিডিল উদ্ধার? গ্রেফতার ১

 

 

দর্শনা অফিস/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকারসহ ফেনসিডিল নাকি সোনার গয়না উদ্ধার করেছে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গোলক ধাঁধার। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে সোনা চালানের প্রকৃত মালিক পক্ষের সদস্যদের ছেড়ে দিয়ে কি ফেনসিডিলসহ প্রাইভেটকার চালককে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে?

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দর্শনা পৌর শহরের মোবারকপাড়া এলাকা থেকে সোনার গয়না সেটিং করে একটি স্ট্রিল রঙের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১২-২৫৭২) কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। প্রাইভেটকারে কালু, রানা, আনোয়ার, আলামিন ও কবির নামের অভিযুক্ত সোনা কারবারীকে দামুড়হুদা থানার এএসআই ফিরোজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনা-দামুড়হুদা সড়কের জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থান থেকে আটক করেন। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ সময় প্রাইভেট কার তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়নাসহ আটক করে ৫ জনকে। তবে কতোভরি সোনার গয়না ছিলো তা পরিষ্কার জানা না গেলেও পুলিশের দীর্ঘ সময়ের নাটক স্থানীয়দের কাছে পরিষ্কার হয়। অনেকটা সময় ধরে দর কষাকষির এক পর্যায়ে পুলিশ ৪ জনকে ছেড়ে দিলেও প্রাইভেটকারের মালিক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাষ্টদহের মনির আহম্মেদের ছেলে কবির আহম্মেদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সংগ্রহ করে কবিরকে গ্রেফতারের তথ্য দেয় পুলিশ। দামুড়হুদা থানা পুলিশ সন্ধ্যায় প্রাইভেটকারসহ জয়রামপুরে আসামিদের গ্রেফতার করলেও রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া হয়েছে। ঘটনা জয়রামপুরের হলেও প্রাইভেটকারসহ আসামি আনা হয়েছে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। প্রশ্ন উঠেছে, কুষ্টিয়া থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল নিতে কেউ কেন দর্শনাতে আসবে? সোনা চোরাচালানি চক্রের সদস্য কালু, রানা, আলামিন ও আনোয়ারকে গ্রেফতারসহ গ্রেফতারকৃত কবিরকে সঠিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।