দর্শনায় জয়নগর সীমান্তে নদীয়া পুলিশের সাথে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর পুলিশের বৈঠক

দর্শনা অফিস: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটে খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত ও ধর্ষকরা যাতে সীমান্ত পাড়ি জমিয়ে গা ঢাকা দিতে না পারে সে লক্ষ্যে দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতীয় পুলিশের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রানাঘাটে স্কুলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় ভারতীয় পুলিশের হাতে রয়েছে ভিডিও ফুটেজ। ডাকাত ও ধর্ষকরা যাকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে না পারে সে জন্য চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডে পরিচালকের কাছে সহায়তা চেয়েছে ভারতের নদীয়া পুলিশ ও বিএসএফ। বিজিবি, বিএসএফ ও দুদেশের পুলিশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈঠক। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৬ নং মেন পিলারের নিকট অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের উপঅধিনায়ক মেজর আনোয়ার জাহিদ, চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান, দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রবিউল ইসলাম, দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই মাহবুবুর রহমান, ভারতের নদীয়া জেলা পুলিশ সুপার অর্নব ঘোষ, গেদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার দিপক থাপা প্রমুখ।

বৈঠক থেকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, রানাঘাটে একটি স্কুলে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমরাও চাই ওই অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হোক। সেক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করার মতো কিছু থাকলে অবশ্যই আমরা করবো। ভারতীয় পুলিশ আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছে। আমরা সে তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সহায়তার চেষ্টা করবো।