দর্শনায় ছিনতাইকারীদের কবলে পুলিশ পরিবার থানায় মামলা দায়ের : ২ ছিনতাইকারি গ্রেফতার

দর্শনা অফিস: দর্শনার বিভিন্ন পয়েন্টে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও মামলায় ঝামেলায় যায়নি কেউ। শ্যামপুর জোড়া বটতলায় পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে খোয়া যায় নগদ টাকা ও সোনার গয়নাগাটি। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টোবল লিটন বাদি হয়ে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করেন মামলা। দর্শনা আইসি পুলিশ অভিযুক্ত ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে জোড়া বটতলাসহ বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা শিকার করেছে পুলিশের কাছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়াগ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে হোসেন আলী (৩৫) ও দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল্লাহকে (২০) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে জোড়া বটতলায় ছিনতাইকৃত ২টি মোবাইলফোন। ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে গ্রেফতারকৃতরা। মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অভিযুক্ত ছিনতাইকারিদের নাম পরিচয় গোপন রেখেছে। গতকালই গ্রেফতারকৃতদের ছিনতাই মামলায় সোপর্দ করা হয়েছে আদালতে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে রাত ২টার দিকে দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশনের পুলিশ কনস্টেবল লিটন ইসলামের স্ত্রী-সন্তান ও ভাই ট্রেনযোগে দর্শনায় পৌছায়। পুলিশ কনস্টেবল লিটন ইসলাম দর্শনা হল্টস্টেশন থেকে স্ত্রী সন্তান ও ভাইকে আগিয়ে আনতে যান। স্টেশন থেকে ভ্যানযোগে দর্শনা শ্যামপুরের ভাড়া বাড়িতে ফেরার পথে বহুল আলোচিত জোড়া বটতলা নামকস্থানে পড়তে হয়েছে ছিনতাইকারিদের কবলে। ৪/৫ জনের মুখোশধারী ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র ও বোমার ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়, ৩ হাজার ১শ টাকা, একটি সোনার হার ও দুটি মোবাইলফোন। পুলিশ কনস্টেবল লিটন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।