দর্শনার কাজী ফটোস্ট্যাটের মালিক ও কর্মচারী অভিযুক্ত

দামুড়হুদায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা রুজু

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দর্শনার কাজী ফটোস্ট্যাটের মালিক আহাদ হোসেন ও কর্মচারী দর্শনা ঘুঘুডাঙ্গার আজিজ কসাইয়ের ছেলে সেলিমকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরজাহান বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর শনিবার এক শ্রেণির কুচক্রীমহল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার (ইংরেজি ও গণিত) প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। যা উপজেলার দর্শনার বিভিন্ন ফটোকপির দোকানে পাওয়া যায়। বিষয়টি জেলা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) উপপরিচালক জাফর ইকবাল জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ইমেইল করে জানান। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গাফিলতি করেন। পরে বিষয়টি ব্যাপক আকারে জানাজানি হয়ে পড়লে বিষয়টি তদন্তের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠান। এরপর তিনি আর এ বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেননি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা জানার পরও নেয়া হয় পূর্ব নির্ধারিত ইংরেজি পরীক্ষা। এ নিয়ে পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় সোমবারের গণিত পরীক্ষা স্থগিত করেন এবং রোববারে অনুষ্ঠিত ইংরেজি পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানালেও তিনি তা বাতিল করেননি। পরদিন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহাকে আহ্বায়ক এবং ইউআরসির ইন্সট্রাক্টর জামাল হোসেন ও সহকারী ইপজেলা শিক্ষা অফিসার হুমায়ন কবিরকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ১৯৮০’র ৪ (ক)/১৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।