দণ্ডিত আতিয়ার চুয়াডাঙ্গা কারাগারে বন্দী

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের মামলায় দণ্ডিত আসামি যশোর অভয়নগরের পাঁয়রা সামসপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের দায়েরকৃত মামলায় আতিয়ার রহমানকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। দণ্ডিত আতিয়ারকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

সূত্রে জানা গেছে, যশোর অভয়নগর উপজেলার পাঁয়রা সামসপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আতিয়ার রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে আবুল কাশেমকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবে বলে ৩ লাখ টাকায় বন্দোবস্ত হয়। কাশেম চুক্তি অনুযায়ী ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম আতিয়ারকে দেন। বাকি টাকা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর দিতে হবে। সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে আতিয়ার রহমান ব্যর্থ হলে কাশেম তার টাকা ফেরত চাই। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আবুল কাশেম প্রতরণার অভিযোগ তুলে ২০০৭ সালের ২৭ নভেম্বর আতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক মো. তৈয়ব আলী ১৮৬০’র ৪০৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডাদেশ দেন। এ মামলায় অন্য দু আসামি আতিয়ার রহমানের ভাই সাইদুর রহমান ও ফজলের ছেলে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।