দগ্ধ আরও ১ জনের মৃত্যু : মৈত্রী ট্রেনে পেট্রোলবোমা হামলা

স্টাফ রিপোর্টার: মৈত্রী ট্রেনে পেট্রোলবোমা হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, ঝটিকা মিছিল, বিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণসহ সহিংস ঘটনার মধ্যদিয়ে অবরোধের ৩৪তম দিন অতিবাহিত হয়েছে। একই সাথে ৭২ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন শেষ হয়েছে। সপ্তার প্রথম দিন হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক দেখা গেলেও রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি ছিলো বরাবরের মতো উত্তপ্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ দেশের বেশির ভাগ আঞ্চলিক সড়কও ছিলো ফাঁকা। দূরপাল্লার ২-১টি যানবাহন চলাচল করার চেষ্টা করলেও যাত্রী শূন্যতা ছিলো প্রকট। ট্রেন চলাচলও তেমন স্বাভাবিক ছিলনা। নগরীর সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত ব্যাংক-বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলো। তবে কাজকর্ম হয়েছে তুলনামূলক কম।

ওদিকে শনিবার রাতে বগুড়ায় পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ট্রাকহেলপার গতকাল মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে বিরোধী জোটের দু শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। রাজধানীর পৃথক স্থানে তিনটি গাড়িতে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ককটেল বিস্ফোরণে ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সাতরাস্তা এলাকায় গুলিস্থান থেকে গাজীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রমনার সুগন্ধা গেটের সামনে একটি হলুদ ক্যাবে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরে চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ তিন আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মিনারের সামনে দুর্বৃত্তরা পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ফারাবি, সবুর, শম্পা আক্তার ও অজ্ঞাত যুবক আহত হয়। আহত চারজন শহীদ মিনারের সামনে চা-পান করছিলেন। প্রায় একই সময় টিএসসির মোড়ে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তামান্ন, নিয়াজ ও ইমন গুরুতর আহত হন। অন্যদিকে, সন্ধ্যা ৭টায় মৎস ভবনের সামনে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে দৃর্বৃত্তরা। এতে রকিবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী আহত হন। পথচারীরা আহত ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।