দক্ষিণের পথে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রোববার থেকেদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে দক্ষিণবঙ্গ কোচ ওবাস মালিক সমিতি।সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর মোল্লা গতকাল শুক্রবারবলেন, ঢাকা থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা-দোহার রুটে কোনো ধরনের বাস ও মিনিবাস চলাচল করবে না।“কোনোদুর্ঘটনা ঘটলেই ঢাকা থেকে দক্ষিণের পথে গাড়িতে আগুন দেয়া, ভাংচুর করা এবংগাড়ি আটক করে মুক্তিপণ আদায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় গাড়িনিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনাকরে চারদফা দাবিতে আমরা এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছি।”গত ৪অগাস্ট ঢাকা-মাওয়া রুটের বেজগাঁও এলাকায় মেঘনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গেসংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাসপুড়িয়ে দেয় এবং প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর করে।আলমগীর মোল্লা বলেন, দুর্ঘটনার পর মেঘনা পরিবহনের কোনো গাড়ি ওই রুটে চলতে দেয়া হচ্ছে না। একারণে ওই পরিবহনের ৩০টি গাড়ির প্রায় দেড়শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।“সমস্যাসমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের সাথে গত কয়েকদিন ধরে কথাবলেও লাভ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ লাখ টাকা দিলে সমঝোতা হবে বলেমুন্সীগঞ্জের প্রভাবশালীরা জানিয়েছে। কিন্তু মালিক পক্ষ দুই লাখ টাকার বেশিদিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।”সমিতির সভাপতি জানান, এসব বিষয়বিআরটিএ, যোগাযোগ মন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী, স্থানীয় জেলা প্রশাসন ছাড়াওপুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো লাভ হয়নি। এ কারণে ‘বাধ্য হয়ে’ তারাধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।দক্ষিণবঙ্গ কোচ ও বাস মালিক সমিতির চার দফাদাবি হলো- নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানিতে হবে; আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; যেসব গাড়ি পুলিশআটক করেছে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং দুর্ঘটনা ঘটলেই ক্ষতিপূরণ দাবি বন্ধেআইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।