তোপের মুখে সাব-রেজিস্ট্রার :দলিল বাতিল : মহুরির লাইসেন্স বাতিলের দাবি

 

বৃদ্ধ ফুফুর জমি জালরেস্ট্রি করে নিলেও নওদা বণ্ডবিলের হক সেলিম তা ধরে রাখতে পারেননি

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বৃদ্ধ ফুফুর জমি জাল করে আলমডাঙ্গার নওদা বণ্ডবিল গ্রামের হক সেলিম রেজিস্ট্রি করে নিলেও তা আগলে রাখতে পারেননি। দু দিন পর তোপের মুখে পড়ে সাব-রেজিস্ট্রার গতকাল তা বাতিল করেছেন। জাল দলিল লেখক আব্দুল মোমিনের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা বণ্ডবিল গ্রামের মৃত আজিজুল হক কালু বিশ্বাসের ছেলে হক সেলিম তার অসহায় বৃদ্ধ ফুফু ময়ফুন নেছার বণ্ডবিল মৌজার ৫২ শতক জমি কৌশলে নিজ নামে লিখে নেন। গত ১২ আগস্ট ভোগাইল বগাদি গ্রামের মহুরি আব্দুল মোমিনের (লাইসেন্স নং-১৪২) সহযোগিতায় হক সেলিম ওই অপকর্ম করেন। অভিযোগকারীরা জানান, বিক্রেতার উপস্থিতি কিংবা তার ছবি ছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ওই জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। জাল দলিলটি শনাক্ত করেছেন হক সেলিমের বড় ভাই শহিদুল হক বড় মিয়া। শনাক্তকারী বড় মিয়া সম্পর্কেও এলাকার অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃদ্ধার স্বজনরা গতকাল বুধবার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে মহুরি ও সাব-রেজিস্ট্রারের ওপর চড়াও হয়। তোপের মুখে পড়েন সাব-রেজিস্ট্রার ও মহুরি। দু দিন আগে যে সাব-রেজিস্টার ওই জাল দলিলে স্বাক্ষর করে রেজিস্ট্রি হালাল করেন, তিনিই আবার দু দিন পরে গতকাল চাপের মুখে তা বাতিল করেছেন।

বিক্রেতার অনুপস্থিতিতে এমনকি বিধি অনুযায়ী তার ছবি ছাড়াই কীভাবে সাব-রেজিস্ট্রার ওই জমি রেজিস্ট্রি করলেন?এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার বলেন,দু দিন আগে যখন ওই জমি রেজিস্ট্রি হয়, তখন ভুয়া এক মহিলাকে জমির মালিক সাজিয়ে আমার সামনে উপস্থাপন করা হয়। ছবি চাইলে শনাক্তকারী বলেছিলেন- তুলতে দিয়েছেন,পরে দলিলে লাগিয়ে দেবো।

গতকাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন উত্তেজিত জনগণ জালদলিল লেখক আব্দুল মোমিনের লাইসেন্স বাতিলের জোর দাবি তোলেন। দু দিন আগে সাব রেজিস্ট্রার যে জাল দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন, তিনিই গতকাল তা বাতিল করে দেয়ায় উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন- এ যেন সাপ হয়ে দংশন করে ওঁঝা হয়ে ঝাড়ার মতো ঘটনা।