তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলা পর্যায়ে পার্ক স্থান নিয়ে সেমিনারে ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গার হাই-টেক পার্কটি হবে হাইদ্রাবাদের সিলিকন সিটির আদলে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাতই হবে আগামীদিনের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বর্তমান প্রচলিত যেকোনো উৎপদান খাত থেকে এখাতে উদ্যোক্তারা শতগুণ বেশি লাভবান হবে। এতে সারাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে। তাই, উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলা পর্যায়ে বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় আয়োজিত  সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুশান্ত কুমার সাহা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় এ সেমিনার শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার মো. নওশের আলী এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রভাষক জুলফিকার মাহমুদ। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর আলী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, এনটিভি’র প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট মোকলেছুর রহমান।

সেমিনারে আশা প্রকাশ করা হয় দ্রুততম সময়ে এ হাই-টেক পার্ক স্থাপন করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। ভারতের হাইদ্রাবাদে অবস্থিত সিলিকন সিটির আদলে ১০০ একর জমির ওপর এ পার্ক তৈরি হবে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস উপস্থিত সভায় ঘোষণা দেন, হাইটেক পার্ক স্থাপনে প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া না গেলে তিনি জমিসহ সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করবেন। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রধান অতিথি সুশান্ত কুমার সাহার প্রতি অনুরোধ করেন জেলা পর্যায়ের  হাই-টেক পার্ক স্থাপনের পরবর্তী কাজটি যেন চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করা হয়। মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রশাসন সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।

এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনজুমান আরা বেগম, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান ও দামুড়হুদার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইমাম ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন।