ঢাবি ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শক্ত অবস্থান

চুয়াডাঙ্গা সদরের একজনও এবার বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি

স্টাফ রিপোর্টার: বুয়েট ভর্তিযুদ্ধে এবারও হতাশ করেছে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। ২০১৪ সালে বুয়েটে ৫জন ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছিলো। গত বছর ১জন মেধাতালিকায় ও ১জন অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও এবার তাতেও নেই চুয়াডাঙ্গার কোনো শিক্ষার্থী। এ খবরে হতাশ চুয়াডাঙ্গার শিক্ষানুরাগীমহল। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা। আবার কুয়েট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধেও হতাশ করেনি চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। এ ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ৮ থেকে ১০ জন রয়েছে, যারা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে চমক দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে প্রতিবছর ১ হাজার ৫ আসনে ভর্তির জন্য ৭ থেকে ৮ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কম থাকে না। তাই বলে ভর্তি পরীক্ষায় একজনও টিকবে না? এবারের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একজন শিক্ষার্থীও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় এ প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই দানা বাধে। তবে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা কুয়েটে এবার ভর্তি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার ৩ জন মেধার ভিত্তিতে সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। সুবিধাজনক অপেক্ষমণ তালিকায় রয়েছে ৬ জন। ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৯ জন ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টিকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ও ঘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন মেধাতালিকায় ও ৯ জন সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫জন মেধাতালিকায় ও ২ জন সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র মো. আসোয়াদ আলভী ইয়ানূর সাওম ৫৯তম হয়ে চমক দেখিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ও ‘ডি’ ইউনিটে ৩ জন মেধাতালিকায়, ১২ জন সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি পরীক্ষায় সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের মধ্যে ‘ক’ ইউনিটে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শাহীন আলী, তাহসিন সাকিন শীর্ষ ও আসোয়াদ আলভী ইয়ানূর সাওম। ঘ ইউনিটে হাসান মাহমুদ, আরাফাত, সামি সাদিক ও কাজি নুর ইশরাক ইভান। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে ‘ক’ ইউনিটে তরুন হোসেন, সামিউল হক মালিক উৎস, স্বপ্নীল আকাশ, নাইম আল হাকিম, তানজিম আহমেদ, সায়েম হাসান মালিক, জান্নাতুল নাঈম ও অহনা ইসলাম। ‘ঘ’ ইউনিটে রেহেনুমা বিনতে মালিক রিয়া। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে যারা সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে আসোয়াদ আলভী ইয়ানুর সাওম, অহনা ইসলাম, রোমান্স মাহমুদ, প্রান্তি সাহা, নওশিনী তাবাচ্ছুম। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে সায়েম হাসান মালিক ও নিশাত তাসনিম দিবা। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা হলো- জান্নাতুল নাঈম, তরুন হোসেন ও সামিউল হক মালিক উৎস। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে আল জুবায়ের, অহনা ইসলাম, আসোয়াদ আলভী ইয়ানূর সাওম, তাহসিন সাকিন শীর্ষ, প্রান্তি সাহা ও তানজিম আহমেদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ এবং ডি ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে আসোয়াদ আলভী ইয়ানূর সাওম, তরুন হোসেন ও ফারহানা আফরোজ মুমু। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে তাহসিন সাকিন শীর্ষ, অহনা ইসলাম, সুমাইয়া পারভেজ জুহি, স্বপ্নীল আকাশ, সামিউল হক মালিক উৎস, নওশিনী তাবাচ্ছুম, সাব্বির আহমেদ প্রিয়ম, সজিব হোসেন, তানজিম আহমেদ, ইউসুফ হোসেন, সিদরাতুল মুনতাহা তৃষ্ণা ও সাথী আক্তার সুমি। এরা সকলেই চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সুবিধাজনক তালিকা মূলত গত তিন বছরের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে যে পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পেরেছে তা পর্যালোচনা করেই তা ধরা হয়েছে।