ঢাকা রুটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট : বাড়লো পরিধি

মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনে ডাকাতি মামলায় চালকসহ দু শ্রমিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ খুলনা বিভাগের সকল জেলার সাথে ঢাকার সরাসরি বাস যোগাযোগ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আজ থেকে রাজশাহী বিভাগের পরিবহন শ্রমিকরাও এ ধর্মঘটের সাথে যুক্ত হচ্ছে।

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনে ডাকাতির পর চালকসহ দুজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, এসপি ও মধুখালী থানার ওসিকে প্রত্যাহারে দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের আল্টিমেটাম না মানায় পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ফলে যাত্রী সাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এরই মাঝে ধর্মঘটের পরিধি বেড়ে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সকল রুট এবং ঢাকার সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে বাস যোগাযোগ।

খুলনা বিভাগীয় মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বুধবার এক সভা থেকে দাবি বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি যশোরের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরিসভা থেকে দুশ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, এসপি এবং মধুখালী থানার ওসিকে প্রত্যাহারে জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপই করেননি। যে কারণে পূর্বের সিদ্ধান্ত মতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সকল রুট এবং ঢাকার সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে বৃহস্পতিবার গাড়ি চলাচল করায় তা গন্তব্যে পৌঁছুতে কিছুটা শিথিল অবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে শুক্রবার (আজ) ভোর ৬টা থেকে ওই দুই বিভাগের অভ্যন্তরীণ সকল রুটসহ ঢাকার সাথে পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকায় রাজশাহী বিভাগের বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে সোহাগ পরিবহনের এসি কোচ বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে। বাসটি ফরিদপুরে পৌঁছুলে ওই বাসে ডাকাতি হয়। এরপর বাসের চালক সরাসরি মধুখালী থানায় গিয়ে গাড়ি থামান। এসময় তিনি যাত্রীদের নিয়ে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু ওসি মামলা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি চালক আয়নাল ও চেকার রবিউল ইসলামকে আটক করেন। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাস চালকরা মধুখালী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর দাঙ্গা পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উভয়মুখি বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। একই সাথে আটক শ্রমিকদের মুক্তি,  এসপি ও ওসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়।