ঢাকা দক্ষিণের তিন কাউন্সিলর প্রার্থী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু খায়ের বাবলু। বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের সাথে গণসংযোগকালে গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগের টালি অফিস মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এ নিয়ে রাজধানীতে বিএনপি সমর্থিত ৪ জনসহ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হলো। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস জানিয়েছেন, শুরু থেকেই নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। কর্মীদের গ্রেফতার ও হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় কাউন্সিলর প্রার্থী বাবলুকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। বাবলুর পরিবারের সদস্য ও কর্মীদের অভিযোগ, পরপর দুবার নির্বাচিত সাবেক এ কাউন্সিলরের জনপ্রিয়তার কারণেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্ররোচনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির ১১ নম্বর রোড মহিলা কমপ্লেক্সের সামনে বাবলুর প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে হামলার শিকার হন বাবলুর ছোট ভাই আবুল কবির। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রাথী জাকির হোসেন স্বপনের ছোট ভাই শাওনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আবুল কবির। হামলাকারীরা তাদের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেছে। এ সময় কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। এ ঘটনার পরই স্বপনের প্ররোচনায় বাবলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন স্বপন বলেন, বাবলু একজন ভালো লোক। তিনি দুবার কাউন্সিলর ছিলেন। তার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। এ মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করাটা খারাপ হয়েছে। গ্রেফতারের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার এসআই পলাশ চন্দ্র মণ্ডল জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ার কারণে আবুল খায়ের বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে আবুল খায়ের বাবলুর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। আবুল খায়ের বাবলুর বিরুদ্ধে বিচারাধীন সাতটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাবলুর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক এসব মামলার কারণে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার পর নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন তিনি। এদিকে গতকাল রাত আটটার দিকে রাজধানীর জাপান গার্ডেন সিটির উল্টোপাশ থেকে ঢাকা উত্তর সিটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এনায়েতুল হাফিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক এমপি কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওদিকে গতকাল সকালে ঢাকা উত্তরের ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবুল শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকালই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বাবুল শিকদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, এনায়েতুল হাফিজের বিরুদ্ধে একটি ও বাবুল শিকদারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।