ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ইমিগ্রেশন যাত্রা স্টেশনেই

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাত্রা স্টেশনেই সম্পন্ন হবে। যারা কলকাতা যাবেন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন । আর কলকাতা থেকে যারা বাংলাদেশে আসবেন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে শিয়ালদহ স্টেশনেই সম্পন্ন করা । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপমহাপরিচালক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু  তারা এখনো চিঠির সম্মতিসূচক জবাব পাঠায়নি। আশা করছি শিগগিরই তারা সম্মতি জানিয়ে জবাব দেবেন। চিঠির জবাব পেলে খুব শিগগিরই এ সেবা চালু করা সম্ভব হবে। উপমহাপরিচালক (অপারেশন) বলেন, এই সার্ভিস চালু হলে ঢাকা ও কলকাতার দুই প্রান্তে শুরুতেই ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ অন্যান্য দাফতরিক কাজ সেরে নেয়া হবে। ফলে মৈত্রী এক্সপ্রেসের মধ্যপথে আর কোথাও বিরতির প্রয়োজন হবে না। ট্রেনটি ননস্টপ চলাচল করবে। রেল সূত্র জানায়, বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেদে স্টেশনে ইমিগ্রেশন কাজ সারতে হয়। এ সময় যাত্রীদের সকল মালামাল নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবারো মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। আর ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে মাঝপথে  চলে যায় তিন ঘণ্টা সময়। বিষয়টি অনেক সময় যাত্রীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভেতরে খাদ্য-পানীয়ের পর্যাপ্ত  ব্যবস্থা  থাকায় মাঝ পথে কোথাও থামানোর প্রয়োজন নেই। কলকাতা ঢাকার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতে যেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। ঢাকার ক্যান্টমনমেন্ট ও কলকতার শিয়ালদহে ইমিগ্রেশনসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হলে সময় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টায় নেমে আসবে। এর ফলে মৈত্রী এক্সপ্রেসের সেবার মান আরও বাড়াতে এবং এই ট্রেনে ভ্রমণ সহজ, আরাম দায়ক হবে।

উল্লেখ, দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার সম্প্রসারণে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ২০০৮ সালে মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ছাড়া ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে এখন সপ্তাহে ৬ দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। এটি এখন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ভাড়া ভ্রমণ করসহ ১৬৩৩ টাকা। প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে ৫ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের ৫০ শতাংশ কম ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া ও আরামদায়ক ভ্রমণ হওয়ায় এখন ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণের ক্ষেত্রে মৈত্রী এক্সপ্রেস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এখন আর ট্রেনের আসন তেমন খালি থাকে না। প্রতিদিন উভয় দিক থেকে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী এই ট্রেনে যাতায়াত করে।