ঢাকার বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আ.লীগের দু নেতা খুন

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত দু নেতা খুন হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা শামসু মোল্লা। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে আড্ডারত অবস্থায় সরকার সমর্থক কয়েকজনের ওপর গুলি চালানো হয় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। নিহতদের মধ্যে শামসু মোল্লা (৫৩) ঢাকার ৬ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক। নিহত অন্যজনের নাম মানিক (৪৫)। আহতদের মধ্যে পিঠে গুলিবিদ্ধ আব্দুস সালামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাহবুবুর রহমান গামা নামে অন্যজন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক। তার একটি এনজিও রয়েছে। কী কারণে এ হামলা হয়েছে এবং কারা এ হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ের ১শ গজের মধ্যে ওই পানির পাম্প ঘরের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিয়মিত আড্ডা দেন। এর মধ্যেই রাত ৯টার দিকে হামলা হয়। ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসবক লীগের সহসভাপতি মারুফ আহমেদ মানিক বলেন, তারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলেন, ওই সময় অতর্কিত হামলা হয়। আমি আলোচনা থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছিলাম, এর মধ্যেই শুনি গুলির শব্দ, এসে দেখি চারজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিন থেকে চারজন হেঁটে এসে গুলি চালায়। গুলি চালিয়েই তারা চলে যায়, বলেন তরিকুল ইসলাম নামে প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি গামার আত্মীয়। গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল জানিয়েছেন। তিনজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে শামসু মোল্লা ও মানিকের মৃত্যু হয়।