ডিসেম্বরে পৌর ও জানুয়ারিতে ইউপি নির্বাচন : ইসি

 

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে বৃহৎ নয়, ক্ষুদ্র পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রতিবেশি ভারতের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ২৪৫টি পৌরসভা এবং জানুয়ারিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। নভেম্বরে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভারতের কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী কমিশনের প্রস্তাব দিয়েছেন। চীন থেকে আমদানি করার পরিবর্তে দেশীয় ব্যাটারি ব্যবহার করতে গিয়ে ‘অচল’ হয়ে থাকা ইভিএম আবার ব্যবহার উপযোগী করতে নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী এ পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সাথে বর্তমান ইভিএমে কারচুপি রোধ সম্ভব নয় বলে তা পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। ডিসেম্বরে সারাদেশে ২৪৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। এ লক্ষ্যে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভাগুলোয় ভোটার নিবন্ধন কাজে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে এসব পৌরসভায় কোনো ধরনের ভোটার হালনাগাদের কাজ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন যোগ্য পৌরসভায় দ্বিতীয় স্তরের প্রথম পর্যায়ের হালনাগাদের কাজ ২৫ নভেম্বরের আগেই শেষ করতে বলা হয়েছে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা নিয়েই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১১ মার্চের মধ্যে ২৪৫ পৌরসভায় নির্বাচন করতে হবে। নভেম্বরের শুরুতে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ডিসেম্বরের যে কোনো সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। পৌরসভার এ নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে একশ কোটি টাকা। আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। পর্যায়ক্রমে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকা।