ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হিজলগাড়ি-দর্শনা সড়কে নয়া কৌশলে ছিনতাই!দেখতও প্রায় পুলিশ!

 

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ি-দর্শনা সড়কের দক্ষিণচাঁদপুর গোরস্তানের সামনে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অভিনব কৌশলে পথচারীদের নিকট থেকে ৪টি মোবাইলফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পথচারীরা দামুড়হুদা মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছে। এ সড়কে প্রায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও কোনো সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সন্ধ্যার পর ওই সড়কটি পথচারীদের নিকট আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়ে উঠেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হিজলগাড়ি-দর্শনা সড়কের দক্ষিণচাঁদপুর গোরস্তানের সামনে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে লাল পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে দুজন শাদা পোশাকে অবস্থান নেয়। এ সময় বাইসাইকেল নিয়ে দর্শনা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দোস্ত গ্রামের আমতলাপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে আ.রাজ্জাক, সোবাহানের ছেলে মিলন, হযরত আলীর ছেলে, লালন, জাহাঙ্গীরের ছেলে ছোটন, কুন্দিপুর গ্রামের শাহাজামালের ছেলে সোহেল রানা ও ইসলামের ছেলে টিটন। ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীশা পোশাকধারী ওই দুজন তাদেরকে থামিয়ে বলে এখানে সীমা নামের একটি ধর্ষিতা হয়েছে এবং তোরা করেছিস। তোদের মোবাইলফোন চেক করা হবে সীমার নাম্বার আছে। ভীতিকর কথা শুনে সোহেল, টিটন, মিলন ও রাজ্জাক তাদের মোবাইলফোন দিয়ে দেয়। থানায় নিয়ে মোবাইলফোন চেক করে তার পর ফেরত দেয়া হবে বলে শাদা পোশাকধারীরা জানায়। ভয়ে কিশোর বয়সী ছেলেরা বাইসাইকেলে করে দর্শনা তদন্তকেন্দ্রের দিকে রওনা দেয়। আর ওই ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী মোটলসাইকেলযোগে সটকে পড়ে। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ারা জানায়, তাদেরকে দেখতে প্রায় পুলিশের মতোই লাগছিলো। তাদের মাজায় পুলিশের মতো পিস্তল ছিলো তবে তা খেলনা না আসল তা বলতে পারবো না।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছে, প্রায় সময় দোস্ত আমতলা মোড় থেকে দক্ষিণচাঁদপুর গোরস্তান পর্যন্ত এ সড়কে কখনও পোশাকে আবার কখনও শাদা পোশাকে দামুড়হুদা, দর্শনা, ডিবি পুলিশ সন্ধ্যার আগ দিয়ে চেকপোস্ট বসায় এবং যানবাহনসহ পথচারীদের চেকিং করে থাকে। যারা এ সড়কে চলাচল করে বিষয়টি তারা অবগত। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছিনতাইকারীরা আইন প্রয়োগকারীর সদস্য পরিচয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই এ সড়কে চেকিঙের সিদ্ধান্ত হলে যে বিভাগেরই সদস্য হোক না কেন তারা যেন পোশাক অথবা পুলিশ সরঞ্জাম থাকে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম, তারপরও বিষয়টি দেখছি। তবে সকলের নিকট আমাদের অনুরোধ কোনো আইন প্রয়োগকারী সদস্য পরিচয় দিলে তা যদি সন্দেহের হয় তাহলে সাথে সাথে নিকটস্থ পুলিশকে জানান।