ডিঙ্গেদহ বাজারে খাদ্যগুদামে তামাক প্রসেসিং : পরিবেশ দূষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লেবার ভেন্ডারের যুক্তিসহ প্রতিবাদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ বাজারের খাদ্যগুদামে তামাক প্রসেসিং ও গ্রেডিঙের কারণে উত্থাপিত পরিবেশ দূষণের অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন পদ্মবিলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের। তিনি ওই তামাক প্রসেসিং কেন্দ্রের লেবার ভেন্ডার।

অভিযোগ উত্থাপনকারী ডিঙ্গেদহ বাজারের ব্যবসায়ী। তিনি এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছেন, সরকারি খাদ্য গোদামটির পাশে ৭০/৮০টি পরিবার বসবাস করে। ২০ ফুট দূরে সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ। তামাক প্রসেসিঙের কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে ওঠে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্বাস-কষ্টে ভোগে। বাতাসে ছড়ানো তামাকের গন্ধে শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদের কাশিতে শুরু হয়ে পড়ে। ফলে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে লেবার ভেন্ডার আবু তাহের বলেছেন, অভিযোগ উত্থাপনকারী আকবার আলী নিজেও একজন তামাকব্যবসায়ী ছিলেন। লেবার ভেন্ডারের সাথে সম্প্রতি বিরোধের কারণেই বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আবু তাহের বলেছেন, ৭০/৮০টি পরিবার খাদ্যগুমের পাশে বসবাস করে না। উত্তরে শঙ্করচন্দ্র ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মৃত নূর আলীর ছেলে মহিউল আলম, মৃত নবিছদ্দীনের ছেলে ছালে আহম্মেদ, দক্ষিণে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলবার হোসেন, পশ্চিম দিকে বাগান, পূর্ব দিকে রাস্তা। এসব পরিবারগুলো কখনোই তামক প্রসেসিং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেনি। তাছাড়া বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ ২০ ফুট নয়, আড়াইশ ফুট দূরে। ইউপি চেয়ার‌ম্যান বা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির তরফেও কোনো অভিযোগ নেই। সমস্যা হয় না যখন তখন অভিযোগ উত্থাপন করবেন কেন?

আবু তাহের তার পত্রে বলেছেন, এ এলাকার চাষিদের অনেকেই তামাক চাষ করেন। নিকটতম ক্রয়কেন্দ্র মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ। এলাকার চাষিরা ডিঙ্গেদহ বাজারে অবস্থিত খাদ্যগুদামটি ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানি ভাড়ায় নিয়ে প্রসোসিং করায় এলাকার কৃষকরা সেখানে তামাক বিক্রি করতে পারছেন। এছাড়া এ কেন্দ্রে আনুমানিক দু আড়াইশ পরিবারের নারী-পুরুষের কর্মসংস্থনের ব্যবস্থা হয়েছে এই প্রসেসিং কেন্দ্রটি। ফলে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আমলে না নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।