ডাকাতি : প্রতিরোধের সময় ডাকাতদলের বোমায় তরুণ কৃষক নিহত

মেহেরপুর হিজলীতে মালদ্বীপ প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি : প্রতিবেশীর চিৎকার

 

আমঝুপি প্রতিনিধি: প্রতিরোধ করতে গিয়ে ডাকাতদলের ছোঁড়া বোমাঘাতে নিহত হয়েছেন মেহেরপুর আমঝুপি হিজলী ঈদগাপাড়ার তরুণ কৃষক টিক্কা খান। গতরাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই বোমাঘাতে জখম হাসমতউল্লাহকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিসাধীন রাখা হয়েছে। এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা সদরের আমঝুপির হিজলী গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে রুহুল আমিনের বাড়িতে গতরাত ১টার দিকে একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। রহুল আমিনের এক ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী। ডাকাতদল নগদ টাকা এ সোনার গয়না ডাকাতি করে। এ সময় প্রতিবেশী আশকার আলীর দু ছেলে আসমত ও হেমতউল্লাহ চিৎকার দিতে শুরু করেন। ডাকাতদল একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এ বোমায় হতাহত না হলেও বোমার শব্দে গ্রামবাসী জেগে ওঠে। গ্রামের সাধারণ মানুষ যে যার মতো লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ডাকাতদলের ধাওয়া করে। ডাকাতদল গ্রাম সংলগ্ন ভ্যাপার মাঠের দিকে দৌঁড়ে পালায়। গ্রামবাসী পিছু নিলে ডাকাতদল আরো একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এ বোমাঘাতে টিক্কা খান (৩৪) ও হাসমত উল্লাহ (২৩) আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মাথায় রাত আড়াইটার দিকে টিক্কা খান মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন। গ্রামে এ খবর পৌঁছা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়তে থাকেন সকলে। পুলিশের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলতে থাকেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।

আহত হাসমত উল্লাহ শাহাবুলের ছেলে। আর নিহত টিক্কা খাঁন হিজলী ঈদগাপাড়ার মৃত নূর হকের ছেলে। টিক্কার রয়েছে ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে জ্যোতি। স্ত্রীসহ নিকটজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। টিক্কা খান ছিলেন তরুণ কৃষক।