ডাকাতদলের জিম্মি দশা থেকে পিতাকে মুক্ত করার সময় দু ছেলে রক্তাক্ত জখম

আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররায় ডাকাতি : প্রতিরোধের মুখে পরনের বস্ত্র ফেলে পলায়ন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ডাকাতদলের জিম্মি দশা থেকে পিতা মন্টুকে মুক্ত করার সময় দু ছেলে রুবেল (২৩) ও রশিদুল (১৮) রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তিন ছেলে পিতাকে মুক্তই শুধু করেনি, পিছু ধাওয়া করে ডাকাতদলের এক সদস্যের পরনের লুঙ্গিও খুলে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতপরশু শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাসকররার মৃত শুকুর আলীর ছেলে গৃহকর্তা মন্টু (৪৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৭-৮ জনের একদল ডাকাত বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে ঢুকে দুটি আলমসাধুতে মেরে রাখা তালার চাবি নেয়ার জন্য জিম্মি করে। বিষয়টি টের পেয়ে বড় ছেলে রুবেল প্রথমেই ঘর থেকে বেরিয়ে পিতার জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে। ডাকাতদল হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারে। অপর দু ছেলে রশিদুল ও মনিরুল ঘুম থেকে জেগে ঘর থেকে বেরিয়ে ডাকাতদলের তাণ্ডব দেখে চিৎকার দিতে শুরু করে। প্রতিবেশীরাও জেড়ে ওঠে। ডাকাতদল রাশিদুলের শরীরেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পিছু হটে। হাতে তাদের পিস্তল থাকলেও তা উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে গুলি না করায় ৪ পিতা-পুত্র নিশ্চিত হয়, ওটা খেলনার। জীবনবাজি রেখে পিতা ও তিন পুত্র মিলে ডাকাতদলের ধাওয়া করে। প্রতিবেশীরাও তাতে যুক্ত হন। ধাওয়া করে এক ডাকাতের পরনের লুঙ্গি ধরলে তা খুলে ফেলে বিবস্ত্র হয়েই ডাকাত সদস্য মাঠের দিকে পালিয়ে যায়।

ডাকাতদলের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত দু ভাই রুবেল ও রশিদুলকে প্রথমে খাসকররা বাজারের এক চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়ার প্রক্রিয়া করা হয়।