টানা ৭ দিন বন্ধ চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে বাস চলাচল : দুর্ভোগ চরমে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের নেতারা। বৈঠকে জেলা সড়ক পরিবহনমালিক সমিতির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাসমালিক গ্রুপের জরুরি সভায় সড়ক পরিবহনমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন মুক্তার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানান সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার।

এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাসমালিক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বলা হয়, গত ৬ জুন থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতৃবৃন্দরা বেশকয়েকবার মেহেরপুর মালিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হন। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ জেনেও ৪দিন পর ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয় চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ।

বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার বলেন, চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন মুক্তা যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রতিবেশী জেলা মেহেরপুর মালিক সমিতিকে উস্কানি দেয়া হচ্ছে। সঙ্কট নিরসনের পরিবর্তে বর্তমান পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে।

জরুরি সভায় বেশকয়েকজন মালিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন মুক্তা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন। তিনি নিজের প্রভাব ধরে রাখতে মেহেরপুরের মালিকদের গাড়ি চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন মালিকের নাম দেখিয়ে সংগঠনে ভুয়া সদস্য করে রেখেছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বাস-মিনিবাসমালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক বদর উদ্দীন খাঁন, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খসরু, কার্যনির্বাহী সম্পাদক আরিফ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দরা।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির বাসের ট্রিপ প্রতি ৬০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন মেহেরপুর মালিক সমিতি। ওই টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানালে চুয়াডাঙ্গার বাসগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেয় মেহেরপুর মালিক সমিতি। তারপর থেকেই দু জেলা বাসমালিক সংগঠনের মধ্যে সঙ্কট দেখা দেয়। প্রথমদিকে দু জেলার আভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলো বন্ধ থাকলেও ঘটনার চার দিনপর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার সকল রুটে মেহেরপুরের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় চুয়াডাঙ্গা বাস-মিনিবাসমালিক গ্রুপ। ফলে গত ৭ দিন দু জেলার বাসগুলো নিজ সীমানায় চলাচল করছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়ছেন দু জেলার কয়েক হাজার বাসযাত্রী।