ঝুমঝুমপুরের নারী

স্টাফ রিপোর্টার: বাড়ি যশোরের ঝুমঝুমপুর। তিনি মাঝে মাঝেই চুয়াডাঙ্গায় আসেন। তাবিজ-কবজ দিয়ে চিকিৎসাসহ জিন-পরী তাড়ানোর নামে লোক ঠকানোর কাজ করেন। গতকালও মধ্যবয়সী এ নারী সাফী খাতুন চুয়াডাঙ্গায় এসেছিলেন অভিন্ন কাজে। গন্তব্য দৌলাতদিয়াড়ে পৌঁছুনোর আগেই তিনি আলমসাধু থেকে আছড়ে পড়ে আহত হয়ে জ্ঞান হারান। তাকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সাফী খাতুনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার আনুমানিক তিন ঘণ্টার মাথায় তার জ্ঞান ফেরে। তিনি তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, বাড়ি যশোর কোতয়ালি থানার ঝুমঝুমপুর। স্বামীর নাম মনিরুল ইসলাম মনি। তিনি মাঝে মাঝেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে জিন-পরী তাড়ানোর জন্য আসেন। তাবিজ-কবজ দিয়ে চিকিৎসাও করেন। গতকাল তিনি কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসযোগে যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন। বিকেলে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নামেন। শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধু যোগে দৌলাতদিয়াড়ের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে ঝাকুনিতে তিনি আছড়ে পড়ে জ্ঞান হারান বলে জানিয়েছেন তিনি।

তাবিজ-কবজ দিয়ে জিনপরী তাড়ানোর কথা বলা মানেই তো প্রতারণা। লোক ঠকানো। কতোদিন ধরে লোক ঠকাচ্ছেন। অসুস্থ সাফী খাতুন অবশ্য এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সুস্থ করে তোলার আকুতি জানিয়ে বলেছেন, আমাকে আমার বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিলে খুশি হবো।