ঝিনাইদহ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি গরুব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় বিএসএফ’র দুঃখ প্রকাশ

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি গরুব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মেদেনীপুর সীমান্তের চ্যাংখালী নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৪০ মিনিটের এ পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এসএম মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট অনীল শর্মা।

বৈঠকে বিজিবি কমান্ডার এসএম মনিরুজ্জামান বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। একই সাথে তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্টকে অনুরোধ করেন। এ সময় বিএসএফ’র কমানডেন্ট অনীল শর্মা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেন।

গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএসএফ’র গুলিতে জিয়ারুল আহমেদ রাজু (২৪) নামে এক বাংলাদেশি গরুব্যবসায়ী নিহত হন। কুসুমপুর সীমান্ত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসছিলেন। এ সময় ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই রাজুর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা নিহত রাজুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

৬ বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের ধানখোলা গ্রামের জিয়ারুল আহমেদ রাজুকে (২৪) গুলি করে হত্যার ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ মেদেনীপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেন পিলার ৬৪’র নিকট চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার অন্তর্গত চ্যাংখালী নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট অনীল শর্মা। বৈঠকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এসএম মনিরুজ্জামান বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্টকে অনুরোধ করেন। প্রতিউত্তরে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে এবং তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিএসএফ কমানডেন্ট পতাকা বৈঠকে বিজিবিকে আশ্বস্থ করে। পরিশেষে শান্তিপূর্ণভাবে পতাকা বৈঠক শেষ হয়।