ঝিনাইদহ সদর-কোটচাঁদপুর সীমান্তের কয়েটি ডাকাতির ঘটনায় : গ্রামবাসীর পাহারা : আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই বোমা বিস্ফোরন

 

বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর-কোটচাঁদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামের ৫ বাড়িতে এবং দুটি সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনায় কোনো অপরাধীরা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। গ্রেফতার হয়নি কেউ। কোনো অপরাধী গ্রেফতার না হওয়া এবং ডাকাতির ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত বুধবার রাতে দূর্গাপুর মাঠপাড়ার আরোজের বাড়ির নিকট রাস্তার ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই এই বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে গ্রামবাসী। তবে এরই মধ্যে নিজেদের সম্পদ রক্ষার্থে দলবেঁধে রাত জেগে কয়েকটি গ্রামবাসী পাহারা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাগুলো আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিবেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর-কোটচাঁদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মাঝে মধ্যেই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। একটি ডাকাতির ঘটনার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। গত বুধবার রাতে দূর্গাপুর মাঠপাড়ার আরোজের বাড়ির নিকট রাস্তার ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবার নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী জানান, ১৯ মে মধ্যরাতে চান্দুযালি গ্রামের মাঠপাড়ায় একদল সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। তারা হাকিম আলির ছেলে সামসুল হক এবং আছমত আলীর ছেলে আলী আহম্মদের বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো আস্ত্রের মুখে গৃহকর্তাদেরকে জিম্মি করে সোনার গয়না নগদ অর্থসহ দামি মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। দুই গৃহকর্তা আরও জানান, তাদের বাড়িতে প্রতি বছরই প্রায় ২-৩ বার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তারা আরও জানান প্রায় ৮মাস আগে পাশের আজিবর রহমান ও আব্দুল আলিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এর দীর্ঘদিন পর আবার আমাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলার দৌড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের মেম্বার রেজাউল ইসলাম জানান, হঠাত করেই কয়েকটি গ্রামে চুরি ডাকাতি আর মাঝে মধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে থাকলে গ্রামবাসী সন্ধ্যার পরই দলবেঁধে পাহারা দেয়ার সিন্ধান্ত নেয়। বর্তমানে সারুটিয়া রুদ্রপুরসহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাহারা চলছে বলে তিনি জানান।

একই ধরনের কথা জানালেন সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মেম্বার রবিউল ইসলাম। তিরি আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যাদবপুর, শ্যামনগর, বড়বাড়ি গ্রামের বিশেষ করে গরু চুরির ঘটনা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বত্তরা এরপরই গ্রামবাসী দলবেঁধে রাতে পাহার দেয়ার সিন্ধান্ত নেয় গ্রামবাসী।