ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন পাঠ করেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আলীমের পক্ষে কাজ করেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা সংখ্যালঘু ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে দেশত্যাগের হুমকি দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস অভিযোগ করেন, গত বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর মারমুখি আচরণ শুরু করে প্রশাসন। এ কারণে ভয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। দোগাছি ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজউল্লাহকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আটক করে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা হ্যান্ডমাইকে বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস।

সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটন, আবদুল খালেক, জীবন কুমার বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান, সালমা ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আলীম ১ লাখ ৫ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩২৮ ভোট।