ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর গাফলতি ॥ ২০০৯ সালের বিল গায়েব ॥ হয়রানীর শিকার গ্রাহকরা

গিয়াস উদ্দীন সেতু: ঝিনাইদহ বিদ্যুত বিভাগের (ওজোপাডিকো) গাফিলতির কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা, সাধুহাটি, সাগান্না, হলিধানী, বৈডাঙ্গা, পোতাহাটি, নগরবাথানসহ সদর উপজেলার হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ২০০৯ সালের গায়েব হওয়া বিলের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার গ্রাহক। ২০০৯ সালের পূর্বে যাদের মিটার ছিলো না তাদের নামেও বিল এসেছে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের পরিশোধকৃত বিল এখন আবার গ্রাহকদের পরিষদ করতে নতুন করে ওজোপাডিকো বকেয়া বিলের কাগজ পাঠিয়েছে, গ্রাহকদের কাছে। যার কারণে গ্রামাঞ্চলের ওজোপাডিকো গ্রাহকরা বিদ্যুত বিভাগের প্রতি ফুঁসে উঠেছে। গ্রাহক শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ অফিস আদালত চিনি না এখন আবার কাজ ফেলে ঝিনাইদহ অফিসে গিয়ে কাগজ ঠিক করতে হবে। হয়রানির জন্য কি সাধারণ গ্রাহকরা দায়ী? দেশে কি আইনকানুন একেবারে উঠে গেছে। বিদ্যুত বিভাগের কর্মচারী-কর্তকর্তরা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছেন। যার কারণে পরিশোধকৃত বিল আবার পাঠানো হচ্ছে।
ডা. আমিরুল ইসলাম বললেন, বিদ্যুত বিভাগের এই দুর্নীতি মানা যায়না। যারা ২০০৯ সালে মিটার নেননি তাদের নামেও এই বিলের কাগজ পাঠানে হয়েছে। এই অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে একদিকে যেমন সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওজোপাডিকো উপসহকারী প্রকৌশলী রফিক জানান, ২০০৯ সালের কম্পিউটারে সম্পূর্ণ ফাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। তবে ২০০৯ সালের বিলের কাগজ যে গ্রাহক দেখাবে তাদের বিল ঠিক করে দেয়া হবে। তার নিকট জানতে চাওয়া হয় গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ ৭ বছরের কাগজ যাদের নেই তারা কি করবে এর উত্তরে তিনি বলের বিষয়টি স্যারের যাথে কথা বলেন। ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, একটা ফাইল মিস হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে বিলের পরিমাণ খুব কম। শুধুমাত্র বিলের টাকা দিলে হবে। সুদের টাকা লাগবে না। যাদের কাগজ নেই তাদের বিল দিতে হবে। ফাইল মিস হওয়ার ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হযেছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।
ঝিনাইদহ সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দীন বলেন, ২০০৯ সালের পরিশোধকৃত বিল আবার এসেছে। ওজোপাডিকো সাধারণ গ্রাহকদের শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে। এর সমাধান হওয়া উচিত।