ঝিনাইদহে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের যৌথকর্মী সভায়বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল

 

গণমাধ্যমকে খাঁচায় বন্দি রাখতে চায় সরকার

ঝিনাইদহ অফিস: সরকার গণমাধ্যমকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে খাঁচায় বন্দি করে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২০ দলীয় ঐক্যজোটের যৌথকর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার যে স্বপ্ন দেখছে তা পূরণ হতে দেয়া হবে না। নূন্যতম হায়া-লজ্জা থাকলে এই সরকার আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকতো না। বিনা ভোটে এই সরকারের ১৫৪ এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে দেশ পরিচালনা করায় এ সরকারকে অবৈধ সরকার আখ্যায়িত করেন তিনি। তরিকুল বলেন, এ অবৈধ সরকার সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ এবং বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা অনির্বাচিত সংসদের হাতে নেয়ার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নিজেদের মধ্যে ঐক্য এনে, বিভাজন দূর করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখে দলের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি না করে রাজপথে নামতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, মনির খান, জয়ন্তু কুমার কুণ্ড, সাবেক এমপি এমএ ওহাব, শহীদুল ইসলাম মাস্টার, শহিদুজ্জামান বেল্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মজিদ বক্তব্য রাখেন। সভাটি পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।

বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় এসে বাকশাল কায়েম করেছিলো। চারটি সংবাদপত্র বাদে সব বন্ধ করে দিয়েছিলো। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আবার সেই পথে হাঁটছে। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে। এতে সরকারের পতন হবে। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতায় সংসদে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার বলছে পৃথিবীর অন্য দেশে অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে রয়েছে। তাই আমাদের দেশেও করা হচ্ছে। কিন্তু যে সব দেশে অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে সে দেশে তো গণতন্ত্র আছে। সে সব দেশের গণতন্ত্র সুরভী ছড়াচ্ছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জিয়াউর রহমান সুযোগ না দিলে আওয়ামী লীগ ফের আত্মপ্রকাশ করতে পারতো না।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের নতুন কোনো আইন তৈরি করার অধিকার নেই। তারা কোনো ধারা-উপধারা সংশোধন করতে পারবেন না। তারা যে আইন করবে সে আইন মানতে জনগণ বাধ্য নয়। আমাদের একটিই লক্ষ্য সরকারের দ্রুত বিদায় দেয়া।