ঝিনাইদহে ১৮ দলীয় জোটের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত : দেড় হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী ইসরাইল হোসেন নিহতের প্রতিবাদে রোববার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে ১৮ দল। সকাল থেকেই মারমুখি ভূমিকায় রাজপথে অবস্থান নেয় ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। তারা সড়ক-মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করে। দুপুরে শহরের আরাপপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমানের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে ৩টি পিকআপ ও ইজিবাইক ভাঙচুর করে পিকেটাররা। ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের খড়িখালী এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে তারা। হরতালে জেলা শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।

এদিকে যেখানে শিবিরকর্মী নিহত হওয়ার পর কোটচাঁদপুরে দু প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি টহল দেয় বিভিন্ন এলাকায়। কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিবিরকর্মী ইসরাইল হোসেন নিহতের ঘটনায় দলের বা পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে সরকারিকাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের ২৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ দেড় হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে কোটচাঁদপুর থানার এসআই জুবায়ের হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত শনিবার ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে কোটচাঁদপুরে পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ এবং এক শিবিরকর্মী নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় ২২ জনসহ অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে  নিহত শিবিরকর্মী ইসমাইল হোসেনকে শনিবার সন্ধ্যায় বলুহর বাসস্ট্যান্ডে জানাজা শেষে হরিন্দিয়াগ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শিবিরকর্মীর নিহতের প্রতিবাদে ১৮ দলের ডাকে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়। বিকেলে মেন বাসস্ট্যান্ডে এ উপলক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জোটের পক্ষ থেকে সমাবেশটি স্থগিত করা হয়।