ঝিনাইদহে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলার সড়ক মহাসড়ক থেকে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট আহ্বান করেছে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে শৈলকুপা উপজেলায় সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। আগামীকাল রোববার থেকে সমগ্র জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু ও জেলা বাসশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ অঞ্চলের সড়ক মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। উচ্চ আদালত এ সকল যানবাহন সড়ক-মহসড়কে চলাচল অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অথচ প্রশাসনের সামনে ওই সকল যানবাহন বেআইনিভাবে জেলার ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ-মাগুরা, ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-হাটফাজিলপুর ও ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডুসহ বিভিন্ন রুটে দাপটের সাথে চলাচল করছে। পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকগুলো কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র চলছে। ফলে বাস-মিনি বাস মালিক ও শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং বহু প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। অনেকে পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতে তৈরি মাহেন্দ্র, জেএসএ, নসিমন, করিমন, আলমসাধু, গ্রামবাংলা অটোভ্যান সড়ক মহাসড়কে চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে  দফায় দফায় অনুরোধ করা হয়েছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমতাবস্থায় আগামীকাল রোববার বিকেল থেকে শৈলকুপাসহ এ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে মর্মে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বৈধ-অবৈধ যানবাহন মালিকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে মাহেন্দ্র গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা  শৈলকুপাতে ৫টি বাস এবং বাস মালিক-শ্রমিকরা ঝিনাইদহে ৫টি মাহেন্দ্র ধরে আটকে রেখেছে। এতে করে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ জেলায় সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে।

শৈলকুপা উপজেলা নিবার্হী অফিসার সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, আজ থেকে মহাসড়কে কোনো প্রকার অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না। জেলা বাসমালিক সমিতি ও ভারতে তৈরি মাহেন্দ্র মালিকদের মধ্যে বৈঠক করে চলমান সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।