ঝিনাইদহে ডাকাতিকালে পুলিশের ওপর বোমা হামলা : মালামাল লুট

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ পৌরসভার উপশহরপাড়ায় গত শনিবার রাতে পুলিশের ওপর একটি সশস্ত্র ডাকাতদল বোমা হামলা চালিয়েছে। বোমার স্প্রিন্টারে পুলিশের বহনকৃত টেম্পুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাকাতরা বোমা ফাঁটিয়ে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।

গৃহকর্তা শামছুর রহমান জানান, ঘটনার সময় ৮/১০ জনের ডাকাতদল ঘরের দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে হাত, পা ও চোখ বেঁধে ডাকাতি শুরু করে। এমন সময় পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে বিকট শব্দে বোমার শব্দ পাওয়া যায়। এরপর কয়েক রাউন্ড গুলি হয় বলে ভাড়াটিয়া জানান।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৮/১০ জনের একদল ডাকাত উপশহরপাড়ায় কালীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে ডাকাতি করছিলো। খবর পেয়ে রাতের টহল পুলিশ দ্রুত সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতদল শক্তিশালী বোমা ছুঁড়ে মারে। বোমায় পুলিশের বহনকৃত টেম্পুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চালক রহিদুল ইসলাম আহত হন। এ সময় পুলিশ ডাকাতদলকে লক্ষ্য করে ৫/৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে ডাকাত সদস্যরা আহত হতে পারে বলে অনেকই ধারণা করছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ডাকাত সদস্য হতাহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।

এদিকে বোমা ও গুলির শব্দে সারা শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। গভীর রাতে কী হচ্ছে অনেকেই খোঁজখবর নিলেও উপশহরপাড়ার কোনো বাসিন্দা ভয়ে বাইরে বের হয়নি। ওসি জানান, পুলিশের দ্রুত উপস্থিতির কারণে ডাকাতদলটি নিচতলায় বসবাসরত ভাড়াটিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে শামছুর রহমান আলমের বাসা থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, কয়েকটি মোবাইলফোন ও ৬ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌঁছুলে জীবনহানি ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারতো বলে মহল্লাবাসীর ধারণা। এ ব্যাপারে গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।