ঝিনাইদহে ইসলামী হাসপাতালে চুরি ॥ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত প্রক্রিয়া শুরু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ২য় বারের মতো দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৭ অক্টোবরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চুরি হয়েছে। সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর ভৈরবা এলাকা থেকে রেজাউল ইসলাম তার বৃদ্ধ মাকে কিডনি ও ডায়াবেটিস সমস্যার কারণে ঝিনাইদহের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ডা. জাকির ও ডা. প্রিন্সের নিকটে চিকিৎসার জন্য ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ২য় তলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের মাঝখানে পর্দায় আবৃত রুমে ভর্তি করেন। মায়ের চিকিৎসা চলা অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছেলে রেজাউল ইসলাম ঘরের মেঝেতে পাটির ওপরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ঠিক ১০টা ৭ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত ১৬-১৭ বছরের একটি ছেলে হাতে মোবাইল টিপতে টিপতে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে মূল দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। ৯টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী ছেলেটি প্রবেশ করে সিঁড়িতে ২য় তলায় উঠে প্রথমে পুরুষ ওয়ার্ড ও পরে মহিলা ওয়ার্ডে ঘুরাঘুরি করে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। ঠিক ১০টা ২০ মিনিটে ২য় তলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের মাঝখানে পর্দায় আবৃত ঘরটিতে প্রবেশ করে ১ মিনিটের মধ্যেই রেজাউল ইসলামের জামার পকেটে থাকা মায়ের চিকিৎসার ২২ হাজার নগদ টাকা ও মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইলফোন নিয়ে একই রাস্তায় প্রস্থান করে বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে।
এদিকে হাসপাতালের গেটম্যান ও স্থানীয়রা সিসি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ছেলেই কিছুদিন পূর্বেও ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৪১০ নং কেবিন থেকে একইভাবে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এনড্রয়েড টাচ মোবাইলফোন চুরি করে সটকে পড়ে। মায়ের চিকিৎসার টাকা চুরি হওয়ায় অসহায় রেজাউল ইসলাম ও তার পরিবার সাংবাদিকদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছেন, মুখ থেকে যেন কথায় আসছে না। রেজাউল পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ একই ছেলে বার বার চুরি করছে অথচ ঝিনাইদহে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর থানার পুলিশ কিছুই করতে পারছে না এটা মানা অসম্ভব ব্যাপার। তাছাড়া ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের নিজেদের সিকিউরিটির সুবিধার্থে সিসি ক্যামেরা দ্বারা বেষ্টিত করেছে। কিন্তু চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণের কি সিকিউরিটি দিচ্ছেন ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল? চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণের এ প্রশ্নের কোনো প্রকার সদুত্তর মেলেনি হাসপাতালের ম্যানেজার নুরুল হুদার কাছ থেকে। তারা আরো বলেছেন, ইসলামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার করণেই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরির খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ঘটনা সংগ্রহ করে চোর শনাক্তকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ।