ঝিনাইদহে আ.লীগ নেতা পুলিশ ও ইউএনও’র মাছ লুট : টক অব দ্যটাউন!

 

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটাচাঁদপুর উপজেলায় সরকারি একটি বাঁওড়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রকাশ্যে মাছ লুটের ঘটনাটি টক অব দ্যটাউনে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে প্রকাশ্যে পুলিশ নিয়ে মাছ লুট করলেও কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেব প্রসাদ পাল সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করেন। তিনি মাছ লুটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামেক ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা চ্যালেঞ্জ করলে মাছ লুট বন্ধ হয়। ততোক্ষণে পুলিশের সহায়তায় প্রায় আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয় এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা রোকনুজ্জামান ওরফে টুলু ও যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিম।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার শিশিরকুণ্ডু রিজিয়া দিঘীবাঁওড় সরকারি সম্পত্তি। মালিকানা ও ইজারা নিয়ে মামলা চলছে। গত সোমবার কোটচাঁদপুরের গুড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক দাউদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাঁওড়ে আসেন। এরপর এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান ওরফে টুলু ও যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিমের লোকজন মাছ লুটের মহোৎসব শুরু করে।

জানা গেছে, কোটচাদপুর উপজেলার ৭৩নং শিশিরকুণ্ডু মৌজায় ২৬.৬৯ একর জমির ওপর রয়েছে বাঁওড়টি। সিএস অনুযায়ী কালীগঞ্জের জাহাঙ্গীর কবির শাহিন নামে এক ব্যক্তি ওয়ারিশ সূত্রে এ বাঁওড়ের মালিক বলে দাবি করেন। তবে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেন, বাঁওড়টি ১/১ খতিয়ানভুক্ত।

সূত্র জানায়, রিজিয়া দিঘি নামে পরিচিত বাঁওড়টি সরকারি খাজনা দিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন শাহিন। ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শিশিরকুণ্ডু গ্রামের রোকনুজ্জামান টুলু রিজিয়া দিঘি বাঁওড়টি দখলের চক্রান্ত করেন। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সোমবার বাঁওড় লুট করে প্রায় ২০ লাখ টাকা মাছ বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করে নেন। মাছ লুটের পর জাহাঙ্গীর কবির শাহীন চৌধুরী ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।