ঝিনাইদহে আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার সাগরেদরা লাপাত্তা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজর থেকে গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফেনসিডিলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে আটক করার পর তার সগরেদরা গাঁঢাকা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বারোবাজার এলাকায় তাদের দেখা মেলেনি। বিশেষ করে র‌্যাবের হাতে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আটক হওয়ার পর মাদক নগরী হিসেবে পরিচিত বারোবাজার এলাকায় পিনপতনের নীরবতা বিরাজ করছে। মাদক সম্রাট আবুল কালামের আটকের বিষয়টিও গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সুষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে বারোবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে ইয়াবা, বোমা ও ফেনসিডিলসহ আটক করে র‌্যাব। ঘটনার দিন বিকেলে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান আবুল কালামের গাড়ি চালক মিঠাপুকুর গ্রামের পুটের ছেলে সুজনকে আটক করে র‌্যাব। সুজনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বারোবাজার রেল লাইনের পাশে রুহুল আমিনের মার্কেটে র‌্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাব বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, তার ভাই সালাম ও ফরহাদ ঘটনাস্থলে এসে র‌্যাবের ওপর চাপ দিতে থাকে। র‌্যাব চেয়ারম্যানকে প্রথমে চলে যেতে বলে-তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ ও র‌্যাবের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন। র‌্যাব এ সময় অবরোধকারীদের ওপর মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামেই বারোবাজারে মাদকের সর্ববৃহৎ ঘাট চলে। আওয়ামী লীগের টিকেটে জোর জবরদস্তি করে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ও তার ভাইয়েরা মাদকব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে কালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আইনের ফাকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবারো ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে।