ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ : আহত ২০

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আকামীর হোসেন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের ছয়াইল গ্রামে সকাল পৌনে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগের শাহাবুদ্দীন ও ইমাজউদ্দীন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আকামীর ছয়াইল গ্রামের বেলায়েত হোসেন মীরের ছেলে। আহতদের মধ্যে আমজাদ মীর, ইয়াকুব হোসেন মীর, জিয়ারুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিদের কেউ ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজামুল গনি লিটু। এ নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী লিটু ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিকাশ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের রেশ ধরে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড শর্টগানে গুলি চালায় বলে ওসি জানান। তিনি দাবি করেন সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫/৬ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে গ্রাম্য মেম্বার তোরাপ আলী জানিয়েছেন, সকালে ছয়াইল গ্রামের তোতা গ্রুপের রেজাউল ইসলামকে মারধর করে প্রতিপক্ষ সাহাবুদ্দিন গ্রুপের লোকজন। এরপর গ্রামের পূর্বপাড়ায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সাহাবুদ্দিন গ্রুপের সমর্থক আকামীর (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে জিয়ারুল ইসলামে নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহনেওয়াজ কাসেম জানিয়েছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার দাবি করেছেন, নির্বাচন নয়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউপি নির্বাচনের সাথে এর কোনো সর্ম্পক নেই।