ঝিনাইদহের ৪টি ও মেহেরপুর সদরসহ দেশের ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের ৪টি ও মেহেরপুর সদরসহ দেশের ৯৭ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলেও সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাবসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। অরাজনৈতিক হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রথম দফার এই উপজেলা নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঝিনাইদহের ৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

আজ প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, রামগড়, পানছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি, ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও শৈলকুপা, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, ভোলার লালমোহন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয়, সিঙ্গাইর, সাটুরিয়া, গাজীপুরের কাপাসিয়া, রাজবাড়ীর পাংশা, পঞ্চগড়ের সদর, বোদা, অটোয়ারী, দেবীগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা, রংপুরের তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি, উলিপুর, ফুলবাড়ি, গাইবান্ধার সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া, সোনতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নাটোরের সিংড়া, সিরাজগঞ্জের সদর, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, কাজীপুর, মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও সদর, নড়াইলের কালিয়া, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, সদর ও বালিয়াকান্দি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা, জাজিরা, গোসাইর হাট, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, হবিগঞ্জের মাধবপুর, বাহুবল, নীলফামারির ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নওগাঁর মহাদেবপুর, রানীনগর, পাবনার সাঁথিয়া, আটঘড়িয়া, সুজানগর, যশোরের অভয়নগর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, করিমগঞ্জ, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, নরসিংদীর পলাশ, বেলাবো, সিলেটের বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, চট্টগ্রামের হাটহাজারি, মিরসরাই, সাতক্ষীরার আশাশুনি, রাজশাহীর মোহনপুর, খুলনার দিঘলিয়া ও কয়রায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপের ১০২টি উপজেলার তফশিল ঘোষণা করলেও আজ বুধবার ভোট হবে ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে রংপুরের চারটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এগুলো হলো-রংপুর সদর, কাউনিয়া, গঙ্গাচরা ও পীরগাছা। এ ধাপের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় ধাপে ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৪২ জেলায় ৯২টি উপজেলায় ভোট হবে ২৩ মার্চ। চলতি সপ্তায় পঞ্চম ধাপের তফশিল ঘোষণার কথা রয়েছে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, আজ বুধবার মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার ৭০টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ ভোটগ্রহণের সরঞ্জমাদি প্রেরণ করা হয়েছে। এ উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৮ হাজার ৫৮ জন এবং নারী ভোটার ৯০ হাজার ৬৪৯ জন। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আলমগীর হোসেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে আনসার-পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। অন্যদিকে কেন্দ্রের বাইরে স্ট্যাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও  সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এ নির্বাচনে ৩টি পদে মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রসুল (আনারস), ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অ্যাড. মারুফ আহম্মেদ বিজন (কাপ-পিরিচ), ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত মাও. মাহবুবুল আলম (চশমা), আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুর রব (টিউবওয়েল), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ মহাম্মদ (তালা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত রোমানা আহম্মেদ (কলস) ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সামিউন বাসিরা পলি (হাঁস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলায় আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছে। চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন এবং সব ধরনের সঙ্কটে যারা পাশে থাকবেন তাদেরই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী চারজন। এরা হলেন- কনক কান্তি দাস (আওয়ামী লীগ) কাপ-পিরিচ প্রতীক, আব্দুল আলীম (বিএনপি) আনারস প্রতীক, মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু (বিএনপির বিদ্রোহী) টেলিফোন প্রতীক ও হারুন অর রশীদ (জাতীয়পার্টি) মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক প্রার্থী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুকে দলের সকল সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাতজন। এরা হলেন- আতিকুল হাসান মাসুম (আওয়ামী লীগ) তালা প্রতীক, কাজী এনামুল হক মিলন (আওয়ামী লীগ) উড়োজাহাজ প্রতীক, আব্দুর রশিদ মিয়া (আওয়ামী লীগ) টিয়া পাখি প্রতীক, এনামুল হক নিলু (স্বতন্ত্র) বৈদ্যুতিক বাল্ব, দাউদ হোসেন (আওয়ামী লীগ) চশমা প্রতীক, নুর এ আলম বিপ্লব (আওয়ামী লীগ) বই প্রতীক, হাবিবুর রহমান (জামায়াত) টিউবওয়েল প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তহুরা খাতুন (বিএনপি) কলস প্রতীক ও মিসেস শিরিনা রহমান (আওয়ামী লীগ) হাঁস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখি লড়াই হবে। ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা গঠিত। মোট ভোটার ৩ লাখ ২ হাজার ৫৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৪ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৩২ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৬টি।

শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দুজন। মোশাররফ হোসেন সোনা শিকদার (আওয়ামী লীগ) আনারস প্রতীক ও রাকিবুল হাসান খান দিপু (বিএনপি) মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে তাদের দুজনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পুরুষ পাঁচজন। এরা হলেন- কামরুজ্জামান লিটন (বিএনপি) তালা প্রতীক, কামরুল ইসলাম (বিএনপি) টিউবওয়েল প্রতীক, জাহিদুন্নবী কালু (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) চশমা প্রতীক, মজিবর রহমান (স্বতন্ত্র) মাইক প্রতীক, শামীম হোসেন (আওয়ামী লীগ) উড়োজাহাজ প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পাঁচজন। এরা হলেন- আফরোজা নাসরিন লিপি (আওয়ামী লীগ) হাঁস প্রতীক, সুলতানা বুলবুলি (আওয়ামী লীগ, বিদ্রোহী) কলস প্রতীক, সেতারা আফরোজা (বিএনপি) বৈদ্যুতিকপাখা প্রতীক, রোকসানা আক্তার (বিএনপি) পদ্মফুল প্রতীক, স্বপ্না সুলতানা (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্সপার্টি) ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় শৈলকুপা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সুলতানা বুলবুলি ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুন্নবী কালুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শৈলকুপা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ জন ও মহিলা ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন। শরিফুন্নেছা মিকি (আওয়ামী লীগ) মোটরসাইকেল, সিরাজুল ইসলাম (বিএনপি) আনারস ও তাজুল ইসলাম (জামায়াত) দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পুরুষ পাঁচজন। এরা হলেন- মির কাশেম আলী (আওয়ামী লীগ) উড়োজাহাজ প্রতীক, ইকরামুল হক (বিএনপি) চশমা প্রতীক, মোয়াবিয়া হোসেন (জামায়াত) মাইক প্রতীক, শাহজাহান আলী (জাতীয় পার্টি) তালা প্রতীক, শামীম আখতার (জাসদ) টিউবওয়েল প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পাঁচজন। এরা হলেন- নাসিমা ইসলাম (বিএনপি) ফুটবল প্রতীক, মাহফুজা খানম (স্বতন্ত্র) কলস প্রতীক, মেহেরুন্নেছা মেরী (আওয়ামী লীগ) হাঁস প্রতীক ও নাজমা খাতুন (জামায়াত) সেলাইমেশিন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখি ভোটযুদ্ধ হবে। তবে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিশ্চিত বিজয়ের আশা করলেও শরিকদল জামায়াতের প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় জয়-পরাজয় নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের নেতা তাজুল ইসলাম প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার ৯৬ হাজার ৯৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৫১১ ও মহিলা ৪৮ হাজার ৪৬৩ জন। ভোট কেন্দ্র ৪৭টি।

কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছয়জন। এরা হলেন- জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠাণ্ডু (আওয়ামী লীগ) টেলিফোন প্রতীক, হামিদুল ইসলাম (বিএনপি) কাপ-পিরিচ প্রতীক, নুরুল ইসলাম (বিএনপি) মোটরসাইকেল প্রতীক, ওলিউর রহমান (জামায়াত) হেলিকপ্টার প্রতীক, এএসএম আমিরুল ইসলাম (জাতীয়পার্টি) আনারস প্রতীক ও বাবুল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠাণ্ডু বিসিআইসির সার ডিলার হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরে সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদন করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। এ উপজেলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিএনপি ও জামায়াতের তিনজন প্রার্থী থাকায় একক প্রার্থী নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী পুরুষ পাঁচজন। এরা হলেন- আজিজুর রহমান (জামায়াত) বই প্রতীক, আজিজুল ইসলাম (বিএনপি) চশমা প্রতীক, ইসরাইল হোসেন (বিএনপি) উড়োজাহাজ প্রতীক, মতিয়ার রহমান (আওয়ামী লীগ) টিউবওয়েল প্রতীক, হাসনুর রশিদ মন্নু (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) তালা প্রতীক। মহিলা ভাইস চোয়ারম্যানপ্রার্থী তিথী রাণী বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ) কলস প্রতীক, শাহনাজ পারভীন (বিএনপি) হাঁস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা গঠিত। মোট ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৭ জন। পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ১৫৬ জন ও মহিলা ৯৫ হাজার ৯৮১ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৮৩টি।

ঝিনাইদহ জেলা রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২ জন পুলিশ, ১০ জন আনসার মোতায়েন থাকবে। এছাড়া গোলযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।